স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২২ জুন : অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারের কর্মীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে শনিবার সকালে আগরতলা শহরতলী সুভাষ নগর স্থিত নবীন পল্লী এলাকার ৩১ নং ওয়ার্ডের অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারে তালা ঝুলিয়ে দেয় গ্রামের মহিলারা। গ্রামের মহিলাদের অভিযোগ, এই অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারটির মধ্যে দীর্ঘ তিন থেকে চার বছর যাবৎ অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী শর্মিষ্ঠা পালের রাজত্ব চলছে।
এলাকার গর্ভবতী মহিলারা এবং শিশুরা সঠিকভাবে অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টার থেকে চাল, ডাল এবং ডিম পাচ্ছে না। অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারের মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে চাল, ডাল এবং ডিম থাকার পরেও অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারে কর্মী শর্মিষ্ঠা পাল এক নৈরাজ্যের পরিবেশ সৃষ্টি করে রেখেছে। আরো আশ্চর্যের বিষয় হলো অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারের ভেতর দুর্গন্ধে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়ে আছে। যার জন্য শিশুরা অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারে যেতে চায় না।
পাশাপাশি অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারে কর্মী শর্মিষ্ঠা পাল এতটা উদাসীনভাবে দায়িত্ব পালন করছে যে বলার অপেক্ষা রাখে না। তিনি প্রতিদিন অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারে সময়মতো না এসে মর্জি মাফিক নয়টা, দশটা সময় আসে। প্রতিদিন সকাল সাড়ে সাতটা সময় এলাকার শিশুরা একাধিকবার অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারে এসে এলাকার বাড়ি ফিরে যায়। এই অনিয়মগুলির কারণে শনিবার সকালে যখন এলাকার মহিলারা দল বেঁধে অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারের ভেতর প্রবেশ করে তখন দেখে প্রচুর পরিমাণে চাল, ডাল এবং ডিম নষ্ট হয়ে দুর্গন্ধ হয়ে আছে। এবং এদিনও অঙ্গনওয়াড়ি
সেন্টারের কর্মী শর্মিষ্ঠা পাল সকাল দশটা নাগাদ স্কুলের তালা খুলেছে। যা দেখে তাদের চোখ প্রতিদিন চড়ক গাছ হয়ে যাচ্ছে। তাই এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে গ্রামের মহিলারা। মহিলাদের আরও বক্তব্য বিগত দিনেও এ ধরনের অভিযোগ তুলে অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছিল তারা।
তারপর আইসিডিএস -এর আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে এসে আশ্বস্ত করেছিলেন এখন থেকে অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারে এ ধরনের উদাসীনতা থাকবে না। কিন্তু দেখা গেছে আশ্বাসের পরেও অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারে পরিবেশ বদলায়নি। তাই এদিন তারা অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারে তালা ঝুলিয়ে জানায়, সঠিকভাবে অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টার থেকে পরিষেবা না পাওয়া যায় তাহলে এই অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারে প্রয়োজন নেই এলাকায়, না হলে অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারে কর্মী শর্মিষ্ঠ পালকে এখান থেকে পরিবর্তন করার দাবি তুলেছে গ্রামবাসী। অপরদিকে এ বিষয়ে অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারের কর্মী শর্মিষ্ঠা পালের কাছে জানতে চাইলে তিনি গ্রামের মহিলাদের অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে জানান। তিনি বলেন, তিনি প্রতিদিন সকাল সাড়ে সাতটার সময় অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারে আসেন। এবং সঠিকভাবে চাল ডাল এবং ডিম বেনিফিসিয়ারিদের হাতে তুলে দেন। তবে খাবার কম দেওয়ার যে অভিযোগ উঠেছে, সেই বিষয়ে তিনি বলেন দপ্তরের পক্ষ থেকে কোন পরিমাপ যন্ত্র দেওয়া হয়নি অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের। তাই হাত দিয়ে পরিমাপ করে খাবার দিতে হয়। দীর্ঘক্ষণ চলে এই দিন গ্রামের মহিলাদের বিক্ষোভ প্রদর্শন।