স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২২ ডিসেম্বর : বায়ু সেনার বিশেষ বিমানে চেপে আমবাসায় এলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। রবিবার বেলা এগারোটা নাগায় আমবাসা ডলুবাড়ি হেলিপেডে অবতরণ করে অমিত শাহর হেলিকপ্টার। সেখান থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ চলেছেন হাদুক্লোক ব্রু – হা পাড়াতে। সেখানে এক অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ৬৬৮.৩৯ কোটি টাকার ১৩ টি প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন বোতাম টিপে। পরে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন দীর্ঘ বছর ধরে ব্রু রিয়াং শরণার্থীরা পশুর থেকেও খারাপ অবস্থার মধ্যে দিন যাপন করছিল।
বিজেপি সরকার তাদেরকে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করেছে। কমিউনিস্ট ও কংগ্রেস দীর্ঘ বছর রাজ্যের শাসন ক্ষমতায় ছিল। কিন্তু তাদের নজর পড়েনি ব্রু রিয়াং শরণার্থীদের দুঃখ কষ্টের প্রতি। রাজ্যে সরকার পরিবর্তনের পর বিজেপি সরকার ব্রু রিয়াং শরণার্থীদের সমস্যার সমাধান করেছে। তাঁদের রোজগারের ব্যবস্থা করেছে। কংগ্রেস সরকারের সময় বহু প্রকল্প চালু করা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে তার প্রতিফলন দেখা যায় নি। বিজেপি সরকারের সময় ৯০০ কোটি টাকা ব্যয় করে ১১ টি স্থানে ব্রু রিয়াং শরণার্থীদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তার জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্য সরকারকে ধন্যবাদ জানান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ব্রু রিয়াং শরণার্থীদের নাম ভোটার তালিকার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তাদেরকে রেশন কার্ড প্রদান করা হয়েছে। প্রতিটি পরিবারকে ঘর নির্মাণের জন্য ১ লক্ষ টাকা ও ৪ লক্ষ টাকা সহায়তা হিসাবে প্রদান করা হয়েছে। ২৪ মাস পর্যন্ত প্রতি পরিবারকে মাসে ৫ হাজার টাকা করে প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলেও জানান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ত্রিপুরা রাজ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে বিজেপি সরকারের সময়।
তিনটি চুক্তির মাধ্যমে ত্রিপুরা রাজ্যের শান্তি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। আগামিদিনে ত্রিপুরা রাজ্যে শিল্প স্থাপন হবে। এবং দেশের মধ্যে বিকশিত রাজ্যের তালিকায় চলে যাবে ত্রিপুরার নাম। উদয়পুরের ত্রিপুরা সুন্দরী মন্দিরকে নতুন ভাবে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। আগামিদিনে সমগ্র দেশের মানুষ ত্রিপুরা সুন্দরী মন্দির দর্শন করার জন্য আসবে। অমিত শাহ আশা ব্যক্ত করবেন বিজেপির ১০ বছর শাসনের পর যে কেউ ত্রিপুরা রাজ্যকে দেখলে বুঝতে পারবে না এই ত্রিপুরা রাজ্য আগের ত্রিপুরা রাজ্য। ত্রিপুরা রাজ্যে বড় বড় মেডিক্যাল কলেজ স্থাপন হচ্ছে। শিল্প আসতে শুরু করেছে। গ্রামে গ্রামে পানীয় জল পৌঁছে যাচ্ছে। এইদিনের অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা, সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব, সাংসদ কৃতি সিং দেববর্মণ, বিধায়ক চিত্তরঞ্জন দেববর্মা, রাজ্যের মুখ্য সচিব জে.কে সিনহা সহ অন্যান্যরা। অনুষ্ঠানে এইদিন এলাকার সাধারন মানুষের উপস্থিতি ছিল লক্ষ্যনীয়।