স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৮ জুন : স্বাধীনতার পর মাটির রাস্তা তৈরী হলেও আজ পর্যন্ত মাটির রাস্তায় লাগে নি ইটের ছোঁয়া। চলাচল অনুপযুক্ত রাস্তার কারণে দুর্বিষহ জীবন কাটাতে হচ্ছে কৈলাসহর মহকুমার অধীন ভগবান নগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ছয় ও সাত নং ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের। আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটের আগে স্থায়ী সমাধান না হলে ভোট বয়কটের সিদ্ধান্ত ১৮০ পরিবারে। স্বাধীনতার পর বিভিন্ন রাজনৈতিক দল কেন্দ্রে ও রাজ্যে সরকার পরিচালনা করেছে। রাজ্যের ত্রিস্তর পঞ্চায়েত ব্যবস্থাতেও ক্ষমতার পালাবদল ঘটেছে বহুবার, তবে ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি গৌরনগর ব্লকের অধীন ভগবান নগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ছয় ও সাত নং ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের।
চলাচলের একমাত্র রাস্তার বেহাল দশার কারনে বিপাকে প্রায় শতাধিক পরিবার। দীর্ঘ ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে সংস্কারহীন থাকায় বর্তমানে রাস্তাটি দেখলে যে কেউই ভাবতে পারে এ যেন ভূমিধসে ধসে যাওয়া কোন পাহাড়ি গিরিপথ। পূর্বতন কৈলাসহর-কুমারঘাট সড়ক ধরে উনকোটি জেলাশাসক কার্যালয় অতিক্রম করে বড়জোর ৫০ মিটার এগিয়ে গেলেই মূল রাস্তায় রয়েছে গৌরনগর বৈদ্যুতিক সাবস্টেশন, আর এই সাবস্টেশনের বা পাশ ধরেই ভগবান নগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ছয় ও সাত নং ওয়ার্ডের প্রবেশপথের সূচনা। শুধু তাই নয়, এই প্রবেশ পথের ৫ মিটার দুরে ডান পাশেই রয়েছে ঊনকোটি জেলা পরিষদের কার্যালয়, জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কার্যালয় ও সার্কিট হাউস। বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে এই মাটির রাস্তাটি সম্পূর্ণ চলাচল অনুপযুক্ত হয়ে রয়েছে। অসু্স্থ হলে কিংবা জরুরী প্রয়োজনেও গ্রামে প্রবেশ করতে রাজী হয় না কোনো ই-রিক্সা, কিংবা গাড়ি। সামান্য বৃষ্টি হলেই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে দুই ওয়ার্ডের বাসিন্দারা, মাটির রাস্তা হওয়ায় নেই কোন নিকাশি ব্যবস্থা। রাস্তার অবস্থা এতটাই করুন যে, বর্ষা কাল ছাড়া অন্য সময়েও গ্রামে থাকা দক্ষিণ ভগবান নগর অঙ্গনওয়ারী কেন্দ্রে বাচ্চাদের পাঠানো যায় না। রাস্তায় এত বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে যে বড়রা পায়ে হেঁটে যেতেও প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার কবলে পড়ছেন। এ নিয়ে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়।