স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৬ জুন : রাজ্যে যথেষ্ট বিদ্যুৎ যোগানের ব্যবস্থা রয়েছে। তাই রাজ্যে কোথাও লোডশেডিং নেই, পাওয়ার কাট হয়। এই পাওয়ার কাট হয় ফিউজ জ্বলে যাওয়ায়, থিমবল পুড়ে যাওয়ায়, তার পুড়ে যাওয়ায় এবং মিটার পুড়ে যাওয়ায়। তাই আগরতলা শহরের জন্য সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যারা আগের তুলনায় অতিরিক্ত বিদ্যুৎ ব্যবহার করছে তাদের অতিরিক্ত বিদ্যুতের হিসেব বিদ্যুৎ নিগমকে দশ দিনের মধ্যে অবগত করতে হবে। নাহলে ভিজেলেন্স টিম দশদিন পর সেই সুবিধাভোগী গ্রাহকের বাড়িতে গিয়ে বিদ্যুতিক লাইন কাট করে দেওয়ার পাশাপাশি অতিরিক্ত জরিমানা করবে।
রবিবার সচিবালয়ের সাংবাদিক সম্মেলন করে বিদ্যুৎ নিগমের এই কঠোর সিদ্ধান্তের কথা জানান মন্ত্রী রতন লাল নাথ। তিনি বলেন, শুধু আগরতলা শহরেই রয়েছে এক লক্ষ ৬৬ হাজার গ্রাহক। সবচেয়ে বেশি বিদ্যুতের প্রয়োজন হয় আগরতলা শহরের জন্য। সারা রাজ্যে যে বিদ্যুতের প্রয়োজন হয় তার চারভাগে একভাগ বিদ্যুতের প্রয়োজন হয় আগরতলায়। কিন্তু এবছর দেখা যাচ্ছে অস্বাভাবিক গরমের জন্য মানুষ ফ্রিজ এবং এসির ব্যবহার বৃদ্ধি করেছে। কিন্তু এতে ব্যবহারের মাত্রা যে বেড়েছে সেটা বিদ্যুৎ নিগম জানে না। যার কারণে এর চাপ পড়ছে এলাকার ট্রান্সফরমারের উপর। তাই আগের তুলনায় অতিরিক্ত কোন বিদ্যুৎ পরিষেবা বাড়িতে গ্রাহকরা ব্যবহার করছে সেটা যাতে বিদ্যুৎ নিগমকে অবগত করে। তাহলে বিদ্যুৎ নিগমের কর্মীরা ট্রান্সফরমারের পাওয়ার বৃদ্ধি করে দেবে, বিদ্যুতিক তার প্রয়োজনে পরিবর্তন করে দেবে। এর জন্য আহ্বান জানান মন্ত্রী রতন লাল নাথ। মন্ত্রী আরো বলে দেন, রাজ্যের বিদ্যুৎ নিগম সিদ্ধান্ত নিয়েছে আগামী ১০ দিনের মধ্যে যাতে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ ব্যবহারের বিষয়ে গ্রাহকরা বিদ্যুৎ কর্মীদের অবগত করেন। যদি ১০ দিনের মধ্যে কোন গ্রাহক তার বাড়ির অনুমোদিত বিদ্যুৎ থেকে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ পরিষেবার নিগমের কর্মীদের অবগত না করে তাহলে ইন্ডিয়ান ইলেকট্রিসিটি আইন ২০০৩ মোতাবেক ১৬৩/১২৬ ধারা অনুযায়ী গ্রাহকদের বাড়িতে ভিজিলেন্স টিম যাবে। এবং অতিরিক্ত জরিমানা করা হবে এবং বিদ্যুতিক লাইন কেটে দেওয়া হবে।
আপাতত এই নিয়ম আগরতলা শহরবাসীর জন্য লাগু করা হয়েছে। কারণ কিছু কিছু গ্রাহকদের জন্য বৈধ গ্রাহকদের এই সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। প্রয়োজনে আরো কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে জানান মন্ত্রী। সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি আরো জানান, আগরতলা পুর নিগম এলাকা, খুমুলুঙ, উদয়পুর মিনিসিপাল এলাকা, ধর্মনগর মিউনিসিপাল এলাকা এলটি এবং এস টি লাইন সম্পূর্ণভাবে আন্ডার গ্রাউন্ডে নিয়ে যাওয়া হবে। এবং এর জন্য ঋণ নেওয়া হবে। কারণ প্রচুর অর্থ ব্যয় হবে। দুই থেকে আড়াই বছরের মধ্যে চেষ্টা করা হবে ২০১০ কোটি টাকা ব্যয় করে আন্ডার গ্রাউন্ডের কাজ সম্পূর্ণ করার বলে জানান মন্ত্রী।