স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১২ মার্চ : উজ্জয়ন্ত প্রাসাদ চাই না, নীরমহল চাই না, মুখ্যমন্ত্রী হতে চাই না, কোন মন্ত্রী হতে চাই না, সাংবিধানিক অধিকার অনুযায়ী জনজাতিদের অধিকার চাই। আর এই কথাটি আগরতলা থেকে দিল্লি পর্যন্ত শোনা দরকার।
শনিবার দুপুরে গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ডের দাবিতে আস্তাবল ময়দানে তিপ্রা মথার জনসমাবেশ থেকে এমনটাই দাবি করলেন দলের চেয়ারম্যান প্রদ্যোৎ কিশোর দেববর্মন। তিনি বলেন, যারা বলেন গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ড হবে না, তাদের উদ্দেশ্যে বলা হচ্ছে গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ড হবে। আজকের জনসভায় হাজার হাজার মানুষ হল এই শক্তির লক্ষণ। আর এই শক্তি লক্ষণ হলো যুবকরা। যতদিন পরিবার এক থাকবে ততদিন থানসা থাকবে। তিনি আরো বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর ললিপপ চান না।
পিতাকেও ললিপপ দিয়েছিল, বিনিময়ে তিনি কিছুই পাননি। হিন্দুস্তানে এত প্রিন্টিং হয়নি যে তার থেকে টাকা বের করে লোলিপপ হিসেবে বুবাগ্রাকে দিতে পারবে। কেউ কিনতে পারবে না বুবাগ্রাকে। স্বাধীনতার ৭০ বছর পর তিপ্রাসা চায় গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ড। কারণ তিপ্রাসাদের সাথে অনেক ধোকা হয়েছে। হতাই কাতারে ১২ দিন রাস্তা অবরোধ হয়েছে। কিন্তু চার বছরে কিছুই পায় নি তিপ্রাসা। তাই আজকে কথা দেওয়া হচ্ছে কোন সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে জনগণের সাথে আলোচনা করে নেওয়া হবে বলে জানান প্রদ্যোৎ কিশোর দেববর্মা। ভি আই পি সংস্কৃতি বিশ্বাসী নয় তিপ্রা মাথা। তিপ্রাসা বিশ্বাসী তিপ্রা মাথা। তাই মঞ্চে কোন নেতৃত্বকে বসার জন্য স্থান দেওয়া হয় না। অনুরূপভাবে আজকের কর্মসূচি ভি আই পি সংস্কৃতির নয়। আজ ৬ বছর পর আগরতলায় কর্মসূচি করছে জনজাতিরা। তাই শান্তিপূর্ণভাবে জন সমাবেশ সম্পন্ন করার লক্ষ্যমাত্রার নেওয়া হয়েছে। তিপ্রা মথার লড়াই কোন জাতি সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে নয়। লড়াই সাংবিধানিক অধিকার গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ডের জন্য বলে জানান প্রদ্যোৎ কিশোর দেববর্মন। এদিন জনসমাবেশের ছাড়ো উপস্থিত ছিলেন তিপ্রা মথার সভাপতির বিজয় রাঙ্খল, সি ই এম পূর্ণচন্দ্র জমাতিয়া, জগদীশ দেববর্মা, অনিমেষ দেববর্মা সহ অন্যান্য নেতৃত্ব। এদিন সমাবেশে কয়েক হাজার কর্মী সমর্থক অংশগ্রহণ করে।