Wednesday, February 12, 2025
বাড়িরাজ্যবিকাশ যাত্রা রুখতে কালিমালিপ্ত করতে চাইছে সিপিআইএম : বিজেপি

বিকাশ যাত্রা রুখতে কালিমালিপ্ত করতে চাইছে সিপিআইএম : বিজেপি

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১২ মার্চ : শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করল বিজেপি। এমনটাই স্পষ্ট হয়ে গেল আবারো শনিবার। প্রদেশ কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে প্রদেশ বিজেপি সাধারণ সম্পাদিকা পাপিয়া দত্ত জানান, বিজিপি ও আইপিএফটি জোট সরকার রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর ত্রিপুরায় নাকি একটি রাজনৈতিক খুন হয়নি।

এমনকি পুরসভা নির্বাচনে বিজেপি’র জয়ের পর চুড়াইবাড়ি থেকে সাব্রুম পর্যন্ত কোনো রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা ঘটেনি। সিপিআইএমের পক্ষ থেকে রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী যে অভিযোগ তুলছেন তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। এবং যে অভিযোগগুলি মুখ্যমন্ত্রীর বিকাশ যাত্রা রুখতে এবং কালিমালিপ্ত করার প্রচেষ্টা করছেন জিতেন্দ্র চৌধুরী। তাই সরাসরি চ্যালেঞ্জ জানালেন পাপিয়া দত্ত। সাংবাদিক সম্মেলন থেকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বলেন সিপিআইএমের তুলা অভিযোগ প্রমান দেওয়ার জন্য। এর জন্য পাপিয়া দত্ত জিতেন্দ্র চৌধুরীকে সময় বেঁধে দিলেন আগামীকাল পর্যন্ত।

পাপিয়া দত্ত সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন, সদ্য সমাপ্ত পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনে মানুষ কংগ্রেস দলকে ছুড়ে ফেলে দিয়েছে। তাদের দেশ থেকে মুছে দেওয়ার বার্তা দিয়েছে ফলাফলের মধ্য দিয়ে। অপরদিকে কমিউনিস্ট চেয়েছিল তাদের মিত্র কংগ্রেস যেন ক্ষমতায় আসে। রাজ্যের কমিউনিস্ট নেতৃত্ব চান ১৯৯৩ -র কায়দায় কংগ্রেসের উপর ভর করে বাকা পথে ক্ষমতা দখল করতে। এই সস্তা রাজনীতির স্বপ্ন ভঙ্গ হয়ে গেছে। এরপর শুরু হয়েছে সত্যের অপলাপ করা। সিপিএম রাজ্য সম্পাদক দলীয় কার্যালয় থেকে বর্তমান সরকারকে কালিমালিপ্ত  করার অপকৌশল নিয়েছেন। তার তীব্র নিন্দা জানায় প্রদেশ বিজেপি। সিপিএম রাজ্য সম্পাদক অভিযোগ করেছেন সারা রাজ্য জুড়ে বিজেপি-র কার্যকরতাদের দ্বারা অনাকাঙ্খিত হিংসাত্মক কার্যকলাপ সংগঠিত হচ্ছে। পাল্টা বিজেপি-র রাজ্য সাধারন সম্পাদিকা বলেন ১৯৯৩ সালের পর থেকে রাজ্য জুড়ে যে অনাকাঙ্খিত, অনৈতিক, অগনতান্ত্রিক অযাচিত ঘটনার তথ্য তুলে ধরলে বলা যেত সত্যের অপলাপ হত না। দুর্ভাগ্যজনক ভাবে মুখ্যমন্ত্রীর বিকাশ যাত্রাকে কলঙ্কিত করার জন্য যে তথ্য তুলে ধরেছেন তা রাজনীতির নিম্ন রুচির পরিচায়ক বলে জানান তিনি। 

দীর্ঘ ২৫ বছর তাদের কাছে কি কাঙ্খিত ছিল এই প্রশ্ন তোলেন তিনি। বাম আমলে বিধায়কের বাড়ির সামনে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। মন্ত্রীকে হত্যা করা হয়েছে । এটা কতটা কাঙ্খিত ছিল তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। ১৯৯৩ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত এই রাজ্য বিরোধীদের রক্তে সিক্ত হয়েছে।  ২০১৭ সালে বিজেপি’র ১১ জন কার্যকরতাকে হত্যা করা হয়েছে। বাম আমলে দক্ষিন জেলায় ৬৯ জন বিরোধী দলের সদস্যদের হত্যা করা হয়েছে বলে জানান সাধারন সম্পাদিকা পাপিয়া দত্ত। সেই সময় নিশ্চুপ ছিল সিপিএম। ২০১৮ সালে নতুন সরকার আসার পর একজন সিপিএম কর্মীর রাজনৈতিক কারনে হত্যা হয়েছে তা প্রকাশ্যে আনার জন্য চ্যালেঞ্জ জানান তিনি। ক্ষমতায় ফিরে আসার লালসায় সিপিএম তাদের ক্যাডারদের বিভিন্ন সময় প্ররোচনা দিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানান তিনি। এই রাজ্যের মানুষ বিচক্ষন ও বুদ্ধিমান। তাদের আর কোন ভাবেই বোকা বানানো সম্ভব নয়। এই ধরনের উস্কানী মূলক প্ররোচনা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান তিনি। হিংসাত্মক কার্যকলাপে বিশ্বাসী নয় বলে জানান সাধারন সম্পাদক পাপিয়া দত্ত।  

কমিউনিস্টরা তাদের মতাদর্শগত অবস্থান থেকে সন্ত্রাস চালায়। এটা সর্বত্র পরিলক্ষিত হয়। হাতে গোনা ভোট পেয়েছে তারা। ক্ষমতায় না থাকলে তারা আর্তনাদ শুরু করে। মানুষের অনুকম্পা লাভের চেষ্টা করে বলে জানান মুখপাত্র নব্যেন্দু ভট্টাচার্য। দুর্নীতি, হিংসাত্মক ঘটনা তারাই ঘটিয়েছে। এটা রাজ্যের মানুষ ভুলে যায়নি। জবাব দেওয়ার জন্য মানুষ তৈরি। বর্তমানের আসন আর ধরে রাখতে পারবেন না বলে জানান তিনি। এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে ছিলেন সহ- সভানেত্রী উত্তরা দেববর্মা, মুখপাত্র মনিকা দাস দত্ত সহ অন্যান্যরা।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য