স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৬ ফেব্রুয়ারি : আচমকা উত্তপ্ত শহর! বাইক বাহিনী এবং কংগ্রেসের মধ্যে সংঘর্ষে শনিবার বিকেলে রাজধানীর মঠ চৌমুহনী এলাকা উত্তপ্ত হয়ে উঠে। এদিন বিকেলে কংগ্রেসের একটি যোগদান সভা ছিল মঠ চৌমুহনী এলাকায়। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী যোগদান সভায় সঠিক সময় মতো শুরু হয়। কিন্তু আচমকা বাইক বাহিনী মাথায় হেলমেট পরে এবং কালো সানগ্লাস পরে কংগ্রেসের স্টেজের উপর ইট-পাটকেল দিয়ে ঢিল ছুড়তে শুরু করে।
ক্ষণিকের মধ্যে পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ ধারণ করে। পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তুলে কংগ্রেস। শাসকদলের বাইক বাহিনী এবং কংগ্রেসের মধ্যে সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে বেশ কয়েকজন রক্তাক্ত হয়। গুরুতর আহত হয়ে সুদীপ রায় বর্মন। পরবর্তী সময় কংগ্রেস কর্মী সমর্থকরা পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তুলে ভাঙচুর করে বনমালী পুর মন্ডল অফিস। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় বিশাল পুলিশ, টি এস আর সহ আধা সামরিক বাহিনী। কিন্তু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম খেতে হয় পুলিশকে। পরে কংগ্রেস কর্মীরা এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল সংঘটিত করে। আহত কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে যাওয়া হয় আইজিএম হাসপাতালে। সুদীপ রায় বর্মন জানান এটা গণতন্ত্রের বিপ্লবের নমুনা। ঠিক আছে। সময় কথা বলবে। নোংরা খেলায় মেতেছে তারা। পুলিশের ভূমিকা ন্যক্কারজনক। চুরি পড়ে গুন্ডা বাহিনীর হুকুমে হাবুডুবু খাচ্ছে পুলিশ। তবে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন বেশি করে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে। সুদীপ রায় বর্মন হাতে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন। কিন্তু কংগ্রেসে প্রতিরোধে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যেতে হয়েছে বাইক বাহিনীকে। আতঙ্কের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। সাধারণ মানুষ দৌড়ঝাঁপ শুরু করে। কিন্তু প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বীরজিৎ সিনহা বলেন যোগদান সভা হবে। আর বাইক বাহিনীতে পুলিশকে ইতিমধ্যে গ্রেফতারের দাবি জানান তিনি। তবে মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভা কেন্দ্রে মন্ডল অফিসে হামলা করে কংগ্রেসের এদিন শক্তি দেখিয়েছে। কিন্তু এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি নেতৃবৃন্দ।