স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৫ ফেব্রুয়ারি : ২৫ ফেব্রুয়ারি টি ইউ আই আর পি সি পক্ষ থেকে রাজ্য বনধের ডাক হয়েছিল। কারণ দীর্ঘ সময় ধরে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে না বলে তাদের অভিযোগ। গত বুধবার একটি প্রতিনিধিদল মুখ্যমন্ত্রী এবং উপমুখ্যমন্ত্রীর কাছে স্মারক লিপি প্রদান করেন। পরবর্তী সময় সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অনন্ত দেববর্মা জানান, সরকারকে সমস্ত দাবি-দাওয়া জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। দীর্ঘ সময়ের দাবিগুলো পূরণে সরকারের কোন সদর্থক ভূমিকা নেই। সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে শুধুমাত্র প্রতিশ্রুতি মিলেছে। কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না তাই তারা বনধের ডাক দেয়। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী শুক্রবার সারা রাজ্যে সংগঠনের কর্মী সমর্থকরা রাস্তা অবরোধ করে। এবং তাদের দাবিগুলো সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এদিন।
আত্মসমর্পণকারি বৈরী গুষ্ঠি টি ইউ আই আর পি সি -র সদস্যরা আটক করে পুলিশ। উদয়পুর মহকুমার রাধাকিশোরপুর থানাধীন বনদুয়ার এলাকার
অমরপুর উদয়পুর জাতীয় সড়কে এদিন বিভিন্ন দাবি-দাওয়া’কে সামনে রেখে ত্রিপুরার আত্মসমর্পণকারি বৈরী গুষ্ঠির সংগঠন পথ অবরোধে সামিল হয়। এদিন সকাল থেকে উদয়পুর হঠাৎ বাজার হিরাপুর রাস্তার মুখে জাতীয় সড়কে আত্মসমর্পণকারী বৈরীরা বিভিন্ন দাবির নিরিখে জাতীয় সড়ক পথ অবরোধ করে বসে। পথ অবরোধ’কে কেন্দ্র করে কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনার খবর নেই বলে জানান মহকুমা পুলিশ আধিকারিক ধ্রুব নাথ সহ মাতাবাড়ি বি ডি ও সৌরভ দাস, রাধা কিশোর পুর ওসি বাবুল দাস সহ বিশাল পুলিশ টিএসআর জওয়ানরা। পরে বৈরী সংগঠনের সদস্যদের আটক করে ড্রপগেট স্থিত এিপুরা সুন্দরী স্কুলে প্রায় আড়াই থেকে তিন শতাধিক কর্মীকে আটক করে নিয়ে যায়।
বিশ্রামগঞ্জ পুষ্কর বাড়ি এলাকায় জাতীয় সড়ক অবরোধ করলো ত্রিপুরা ইন্ডিজেনাস পিপল রিটার্ন্স। তাদের দাবি দেওয়া নিয়ে প্রায় দুই ঘন্টার আলোচনা চলে প্রশাসনিক আধিকারিকদের। পরে জাতীয় সড়ক অবরোধ তুলে নেয়। যানজট তীব্র আকার ধারণ করে।
তেলিয়ামুড়া মহকুমার মুঙ্গিয়াকামী থানা এলাকার আসাম আগরতলা জাতীয় সড়কে এবং বড়মুড়া পাহাড়ের চন্দ্রসাধু পাড়া ব্রিজ সংলগ্ন এলাকার অবরোধে বসে। পরবর্তী সময় পুলিশ এসে আলোচনার মাধ্যমে অবরোধ প্রত্যাহার করতে বাধ্য করে। অবরোধের ফলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় ছোট-বড় যানচালক থেকে শুরু করে পথচারীদের। পথ অবরোধ’কে কেন্দ্র করে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মহাকুমার বিভিন্ন স্থানে পুলিশ, ত্রিপুরা স্টেট রাইফেলস সহ সি.আর.পি.এফ জওয়ান মোতায়েন করা হয়। আত্মসমর্পণকারী এক জঙ্গি নেতা জানান, দাবি পূরণ না হলে পুনরায় অবরোধে বসবে হুঁশিয়ারি দেন।
শুক্রবার আমবাসা জওহর নগর বিএসএফ ক্যাম্প সংলগ্ন আসাম আগরতলা জাতীয় সড়কে আত্মসমর্পণকারী উগ্রবাদী সংগঠন রাস্তা অবরোধে বসে। সকাল সাতটা থেকে দেড় ঘন্টা রাস্তা অবরোধ চলে। পরে অবরোধ তুলে নেয় আত্মসমর্পণকারী উগ্রবাদীদের সংগঠন। এদিন রোড ব্লক এ উপস্থিত ছিলেন টি ইউ আই আর পি সি সভাপতি ডেনিয়েল দেববর্মা এবং এ আর জে এ সি প্রেসিডেন্ট সূর্যমনি দেববর্মা। মহকুমা পুলিশ আধিকারিক জানান অবরোধকে কেন্দ্র করে কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর নেই। নেতৃত্বদের কাছ থেকে আশ্বাস পেয়ে অবরোধ প্রত্যাহার করেছে আন্দোলনকারীরা।
এদিকে বড়মুড়াতে পথ অবরোধ করে আত্মসমর্পণকারীদের সংগঠনের সদস্যরা। তাদের অভিযোগ দীর্ঘ ২৮ বছর ধরে তারা বঞ্চিত হয়ে আসছে। তাই তারা বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে সেল ময়দানমুখী হয়েছে। এ ডি সি এলাকার ম্যাপ প্রকাশ করা, এ ডি সি হেডকোয়ার্টার ইন্ডাস্টি ডেভেলাপমেন্ট করা। ৫০-৬০ বছরের উর্ধ্বে যারা রয়েছে তাদের জন্য সামাজিক ভাতার ব্যবস্থা করা। তাদের অভিযোগ দীর্ঘ বছর বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তাদের সাথে খেলা করছে। ককবরক ভাষা নিয়ে তাদের সাথে রাজনীতি করে চলেছে। বহুবার এ ডি সি -তে সরাসরি অর্থ রাশি দেওয়ার দাবি জানানো হলেও কোন লাভ হচ্ছে না। তাই সরকারকে সজাগ করতে পুনরায় ময়দানে নেমেছে বলে জানায় তারা।