স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৪ ফেব্রুয়ারি : মানুষ কপাল চাপড়াচ্ছে, কাজ নেই, খাদ্য নেই। এদিকে প্রতিবাদের কণ্ঠ স্তব্ধ করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ২৩ জন সিপিআইএম কর্মী-সমর্থক খুন হয়েছে চার বছরে। মানুষ বলছে কি ভুল করেছে। তাই ভুল সংশোধন করতে হবে। মানুষকে সংঘবদ্ধ হতে হবে। চোখে চোখ রেখে বলতে হবে অনেক হয়েছে। আর না। এবার রাস্তা ছাড়ো। লড়াই চলছে, চলবে। প্রয়োজনে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
কারণ দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। আর পিছে যাওয়ার জায়গা নেই। সোমবার রাজনগর বিধানসভা কেন্দ্রের কমলপুর গ্রামে প্রয়াত বেণু বিশ্বাসের বাড়িতে গিয়ে একথা বলেন বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার। তিনি বলেন এ ধরনের হত্যাকান্ড তীব্র নিন্দা জানানো হচ্ছে। পরিবার-পরিজনদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বলেন, বেনু বিশ্বাসের পরিবারটি সবসময়ই মানুষের জন্য প্রতিবাদী হয়ে এগিয়ে আসতো। তাই তাকে খুন হতে হয়েছে। কিন্তু পুলিশের ভূমিকা অত্যন্ত নিন্দাজনক। কারণ রাজ্য পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে এটি নাকি স্বাভাবিক মৃত্যু। মৃতদেহের কোন আঘাতের চিহ্ন ছিল না। হয়তো কোনো একটি রোগে মৃত্যু হতে পারে বেণু বিশ্বাসের। কিন্তু চিন্তা করে এ ধরনের কথা বলা জরুরী ছিল পুলিশের। রাজ্য পুলিশের নির্দেশককের ভূমিকা ভালো করে জানা আছে। চার দেওয়ালে বন্ধ করে থাকেন তিনি। এখন পর্যন্ত কোনো পুলিশ সুপার বা পুলিশ আধিকারিককে মৃতের পরিবারের সাথে দেখা করার জন্য পাঠায় নি। এলাকাবাসীর মধ্যে এখানে ক্ষোভ রয়েছে। খুনিরা ধারাবাহিকভাবে এলাকায় এভাবে সন্ত্রাস করছে। প্রতিবাদী কন্ঠ যাতে মাথা তুলতে না পারে তার জন্য এভাবে দাবিয়ে রাখার চেষ্টা করছে তারা। এলাকাবাসীর সাথে পর্যন্ত কথা বলে নি কোন পুলিশ আধিকারিক। এতে স্পষ্ট হয়ে গেছে প্রত্যক্ষভাবে না হলেও রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশকের পরোক্ষভাবে মদত রয়েছে। কিন্তু পুলিশের চিন্তা করা দরকার এ দুর্বৃত্তরাই পুলিশকে পেটাচ্ছে। গাড়ির নিচে ফেলে সৎ পুলিশ অফিসারকে পিষে মারছে। তবে জেনে রাখতে হবে সরকার আছে বলে বিচার হবে না এটা ভাবলে ভুল। সমস্ত কিছু রেকর্ডের মতো থাকছে। দিন এভাবে যাবে ভাবলে ভুল করছে। রাজ্যের শান্তিপ্রিয় মানুষ হিসাব মেলাতে শুরু করেছে। মানুষ প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে বলে জানান বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার। এদিন এলাকায় সিপিআইএম কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে একটি মিছিল সংঘটিত হয়। বিরোধী দলনেতা ছাড়াও এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বিরোধী দলের উপনেতা বাদল চৌধুরী, প্রাক্তন মন্ত্রী তপন চক্রবর্তী, প্রাক্তন মন্ত্রী ভানু লাল সাহা সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। এদিন কর্মী-সমর্থকদের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়।