স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৪ ফেব্রুয়ারি : সরকারটা তোল্লাবাজদের সরকার। শুধু তাই নয় কয়েকজন মন্ত্রিসভার সদস্যও সরাসরি তোল্লাবাজি করছেন বলে অভিযোগ তুলেছিলেন সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী। আর এর কতটা তথ্য প্রমাণ রয়েছে সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরীর কাছে তা জানতে চাইলেন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। সোমবার সন্ধ্যায় মহাকরণের সাংবাদিক সম্মেলন করে সুশান্ত চৌধুরী সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরীকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলেন, যে অভিযোগটি তোলা হয়েছে তা কতটা সত্যি তা রাজ্য মন্ত্রিসভা, রাজ্য সরকার এবং রাজ্যবাসী জানতে চায়।
এবং বলেন কোন মন্ত্রীরা ৬ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত তুল্লা আদায় করছে তা প্রমাণ করতে হবে জিতেন্দ্র চৌধুরীকে। নাহলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কারণ স্বচ্ছ ভাবমূর্তি নিয়ে চলছে বর্তমান সরকার। বিগত বামফ্রন্ট সরকারের সাথে বর্তমান সরকারটাকে তারা মিলিয়ে ফেলছে। দুর্নীতি ছিল বামফ্রন্ট সরকারের অঙ্গের ভূষণ। বর্তমান সরকার স্বচ্ছ ভাবমূর্তি নিয়ে কাজ করছে। তাই সরকারকে কালিমালিপ্ত করতে মিথ্যা অভিযোগ তুলছে সিপিআইএম। কিন্তু বামফ্রন্ট সরকারের আমলে পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে মহাকরণ পর্যন্ত দুর্নীতির নেটওয়ার্ক গড়ে উঠেছিল। সাতচাঁদ ব্লকের আঁদা কেলেঙ্কারি, চাকুরিতে দুর্নীতি, স্বাস্থ্য দপ্তরের দুর্নীতি রাজ্যের মানুষ ভুলে যায়নি। আর বর্তমান সরকারের চার বছরে যখন কোনো অভিযোগ তুলতে পারছে না তখন এ ধরনের অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে সিপিআইএম বলে জানান সুশান্ত চৌধুরী। বর্তমান সরকারের আমলে টি এস আর -এ স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়া, টি পি এস সি -র মাধ্যমে স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু হয়েছে। সিপিআইএম -এর ঘরেও চাকুরি হচ্ছে। সিপিআইএম -এর বিধায়ক পর্যন্ত চাকরি পেয়েছেন। ই-টেন্ডার, ৭০ হাজার ভুয়া রেশন কার্ড বাতিল বর্তমান সরকারের আমলে হয়েছে। এ ধরনের দুর্নীতি বামফ্রন্টের আমলে সৃষ্টি হয়েছিল। এখন রাজ্যে মন্ত্রিসভার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করে রাজ্যের মানুষকে বামফ্রন্টের পক্ষে আনতে চাইছে তারা। সারাদেশ থেকে সিপিআইএম যখন বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে তখন এ ধরনের দেউলিয়া রাজনীতি শুরু করেছে। কিন্তু সফল হবে না। কারণ ভারতের জনতা পার্টি জনগণের সরকার বলে জানান তিনি। মন্ত্রিসভার বিরুদ্ধে জিতেন্দ্র চৌধুরীর তোলা অভিযোগ আইনি দপ্তরকে অবগত করা হয়েছে। যে অভিযোগটি রয়েছে তা কখনো প্রমাণ করতে পারবে না সি পি আই এম। তাদের কাছে তথ্য প্রমাণ থাকলে অন্ধকারে ঢিল ছুড়ত না বলে জানান তিনি।