Monday, February 17, 2025
বাড়িরাজ্যদেশ ২০২৬ সালের মধ্যে ৫ ট্রিলিয়ন ইউএস ডলার মূল্যের অর্থনীতি গড়ে তোলার...

দেশ ২০২৬ সালের মধ্যে ৫ ট্রিলিয়ন ইউএস ডলার মূল্যের অর্থনীতি গড়ে তোলার কাঙ্খিত লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে : রাজ্যপাল

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৫ জানুয়ারি : শুক্রবার থেকে শুরু হল ত্রয়োদশ ত্রিপুরা বিধানসভার তৃতীয় অধিবেশন। এইদিন রাজ্যপাল ইন্দ্রসেনা রেড্ডি নাল্লুর ভাষণের মধ্যদিয়ে শুরু হয় বিধানসভার অধিবেশন। এইদিন ভাষণ দিতে গিয়ে রাজ্যপাল প্রথমে রাজ্যবাসিকে ইংরেজি নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান। প্রধানমন্ত্রী জনজাতি আদিবাসি ন্যায় মহা অভিযান চালু করার জন্য ভারত সরকারকে ধন্যবাদ জানান রাজ্যপাল। তিনি বলেন বিশেষ ভাবে চিহ্নিত দুর্বল শ্রেণীর জনজাতি সম্প্রদায়ের লোকদের আর্থ-সামাজিক মান উন্নয়নের জন্য এই প্রকল্পটি চালু করা হয়েছে।

যার জন্য বাজেট ধরা হয়েছে প্রায় ২৪ হাজার ১০৪ কোটি টাকা। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে দুর্বল অংশের জনজাতি পরিবার গুলির মৌলিক সুবিধা সমূহ নিশ্চিত করা যাবে। ভারত সরকার নির্বাচিত কিছু মহিলা স্ব-সহায়ক দলকে ১ হাজার ২৬১ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৫ হাজার টি ড্রোন সরবরাহ করার জন্য একটি প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে। এই প্রকল্পে ২০২৪-২৫ থেকে ২০২৫-২৬ অর্থ বছরের মধ্যে কৃষি সংক্রান্ত কাজে ব্যবহারের জন্য এই ড্রোন গুলিকে ভাড়া দেওয়া হবে। এর ফলে উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে, এবং কৃষকদের সুবিধার্থে পরিচালনগত খরচ হ্রাস পাবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দক্ষ নেতৃত্বে দেশ ২০২৬ সালের মধ্যে ৫ ট্রিলিয়ন ইউএস ডলার মূল্যের অর্থনীতি গড়ে তোলার কাঙ্খিত লক্ষ্যে এগিয়ে চলছে বলে দাবি করেন রাজ্যপাল। কৃষি ও সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্র হচ্ছে রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র গুলির মধ্যে একটি। রাজ্যের ঘরোয়া উৎপাদনে যার ৩৬ শতাংশ যোগদান রয়েছে। রাজ্যে যে সকল শস্য উৎপাদিত হয় তার মধ্যে ধান অন্যতম। চাষের আওতাভুক্ত মোট এলাকার ৫৪ শতাংশ এলাকায় ধান চাষ করা হয়। রাজ্যে ধানের উৎপাদন ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির জন্য ২০২৩ সালের আমন মরশুমে মুখ্যমন্ত্রী ইন্টিগ্রেটেড ক্রপ ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রাম বাস্তবায়িত করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্পে ২০১৮-১৯ সাল থেকে ২ লক্ষ ৪৬ হাজার ৩৩৯ জন কৃষকের একাউন্টে ১৫ তম কিস্তি সহ মোট ৬৪০ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা জমা পড়েছে। প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনায় কৃষকদের বিমার প্রিমিয়াম বাবদ মোট ২১. ১৪ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। ফলে মোট ১২. ৭৬ লক্ষ কৃষকের জমি বিমার আওতায় এসেছে। এই সময়ের মধ্যে মোট ৩ লক্ষ ২৯ হাজার ৮৬০ টি কিষাণ ক্রেডিট কার্ড প্রদান করা হয়েছে। এবং ১ হাজার ৬৪৯ কোটি টাকার ঋন দেওয়া হয়েছে। পিএম কিষাণ-এর বাকি কৃষকদের কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের আওতায় নিয়ে আশার লক্ষ্যে ঘর ঘর কেসিসি অভিযান চলছে বলেও জানান রাজ্যপাল।রাজ্যপাল ভাষণ দিতে গিয়ে রাজ্য সরকারের সাফল্যের দিক গুলি তুলে ধরতে গিয়ে বলেন রাজ্যের জনগণের পুষ্টি সংক্রান্ত চাহিদা মেটানোর উদ্দেশ্যে রাজ্যকে প্রানিজাত খাদ্যে স্বয়ম্ভর করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী প্রাণী সম্পদ বিকাশ যোজনায় ১ হাজার ১৪৪ টি ক্ষুদ্র আকারের হাস পালন কেন্দ্র খোলা হয়েছে। বিজ্ঞান সম্মত পদ্ধতিতে মৎস্য চাষের জন্য ৬৩ হাজার ৩৯৭ জন মৎস্য চাষিকে বিভিন্ন সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। ৬১ হাজার ৭৬২ জন মৎস্য চাষিকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। গুনগত শিক্ষার বিকাসে রাজ্য সরকার আনন্দনগরে টেকনো ইন্ডিয়া বিশ্ববিদ্যালয় এবং ধর্মনগরে আর্য্ক ভট্ট আন্তর্জাতিক বিশ্ব বিদ্যালয় নামে দুইটি বেসরকারি বিশ্ব বিদ্যালয় স্থাপনের অনুমোদন দিয়েছে।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য