Sunday, May 19, 2024
বাড়িরাজ্যচিকিৎসা ব্যবস্থাকে উন্নত করতে সরকার কাজ করে চলেছে : মু্খ্যমন্ত্রী

চিকিৎসা ব্যবস্থাকে উন্নত করতে সরকার কাজ করে চলেছে : মু্খ্যমন্ত্রী

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১২ ডিসেম্বর : স্বাস্থ্য পরিষেবার ক্ষেত্রে কোন গাফিলতি বরদাস্ত করা হবে না। মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রীর খোয়াই উত্তর চেবরি স্থিত দশ শয্যা বিশিষ্ট প্রাথমিক হাসপাতাল সহ স্বাস্থ্যকর্মীদের আবাসনের উদ্বোধন করে এই কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা। মুখ্যমন্ত্রী এদিন অনুষ্ঠানের শুরুতে দুটি নবনির্মিত পাকা ভবনের ফলকের উন্মোচন করেন।

 মুখ্যমন্ত্রী বলেন, উত্তর চেবরিতে ৪ কোটি ৮৬ লক্ষ টাকা ব্যয় করে ১০ শয্যা বিশিষ্ট প্রাথমিক হাসপাতাল গড়ে উঠেছে। পাশাপাশি টাইপ ওয়ান ক্যাটাগরির দুটি স্টাফ কোয়ার্টার বিল্ডিং তৈরি করা হয়। চিকিৎসা ব্যবস্থাকে উন্নত করতে কেন্দ্র সরকার এবং রাজ্য সরকার মিলে একের পর এক কাজ করে চলেছে। যার জন্য বিভিন্ন এলাকাতে দুর্ঘটনাগ্রস্থ রোগীরা যাতে অতিসত্বর চিকিৎসা ব্যবস্থা পায় তার জন্য বিভিন্ন জায়গাতে ট্রমা সেন্টার তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে আগরতলা জিবি হাসপাতালে যে ট্রমা সেন্টার রয়েছে তাতে রোগীর চাপ কমবে।

বিভিন্ন জায়গার রোগীরা অতিদ্রুত চিকিৎসা পরিষেবা পাবে এই ট্রমা সেন্টার গুলিতে। মুখ্যমন্ত্রী আরো বলেন, চিকিৎসার পাশাপাশি শিক্ষা, খাদ্য, পানীয় জল, বাসস্থান সবগুলোই দরকার। এর জন্য কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। যার জন্য কেন্দ্র সরকার একের পর এক প্রকল্প চালু করে চলেছে জনগণের স্বার্থে।সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি মুখ্যমন্ত্রী বলেন বিশেষ করে যেসব হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা নেওয়ার জন্য রোগীরা আসে, তাদের সাথে যেন চিকিৎসকরা ভালো ব্যবহার করেন। কারণ একজন দুর্ঘটনাগ্রস্ত রোগীর শরীরে কি ধরনের যন্ত্রণা হয় ওই সময় তা চিকিৎসক ভালো করেই বুঝেন। কারণ তিনি একজন চিকিৎসক। একজন চিকিৎসকের কথায় একটি রোগীর মনোবল অনেকটাই বেড়ে যায়। রাজ্যবাসীর উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী আরো বলেন, বেশ কয়েকটি কঠিন অস্ত্র প্রচার রাজ্যে সফল হয়েছে। রাজ্যের চিকিৎসকরা নিউরোজিক্যাল সার্জারি, ওপেন হার্ট সার্জারিতে সফল হয়েছে। যার ফলে রাজ্যের রোগীদের চিকিৎসার জন্য বহিঃরাজ্যে যাওয়ার প্রবণতা কমেছে। রাজ্যের চিকিৎসা পরিষেবার উপর আস্থা জন্মচ্ছে মানুষের মধ্যে। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন খোয়াই জেলাশাসক চন্দ্রানী চন্দ্রন, কল্যাণপুরের বিধায়ক পিনাকি দাস চৌধুরী রাজ্য বিধানসভার চিফ হুইপ তথা বিধায়িকা কল্যাণী রায়, খোয়াই জিলা পরিষদের সভাধিপতি জয়দেব দেববর্মা জেলা পুলিশ সুপার সহ অন্যান্যরা। অনুষ্ঠান শেষে তিনি চলে যান কল্যাণপুরে। ১৯৯৬ সালে উগ্রবাদীদের দ্বারা কল্যাণপুর এলাকার ২৬ জন নিরীহ লোক শহীদ হয়েছিল।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য