স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১২ ডিসেম্বর : খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণ করলে এস টি তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার জন্য জনজাতি সুরক্ষা মঞ্চের পক্ষ থেকে দাবি তোলে আগামী ২৫ ডিসেম্বর যে জমায়েতের ডাক দেওয়া হয়েছে এর বিরোধিতা করলেন সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী। তিনি মঙ্গলবার সিপিআইএম রাজ্য দপ্তরে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনের মধ্যে দিয়ে বলেন, কয়েকদিন ধরে শাসক দল তাদের বদান্যতায় এবং তাদের ঘোষিত কিছু কর্মসূচিতে এ রাজ্যে আগামী দিনে গুরুতর উপজাতি সোহাদ্দ ও চিরা চরিত্রে ভাতৃত্বের উপর হুমকি সৃষ্টি করার মতো অবস্থা তৈরি করছে।
যারা নাগরিকের অধিকার, শুদ্ধতা রক্ষার জন্য দায়বদ্ধ তাদের হাত ধরেই এই ঘটনাগুলি সংঘটিত হচ্ছে। আগামী ২৫ ডিসেম্বর বড়দিনের মতো পবিত্র দিনে এ ধরনের জমায়েত অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। জনজাতি সুরক্ষা মঞ্চে এ ধরনের জমায়েত ডাকার পেছনে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের মদত রয়েছে বলে আশঙ্কা ব্যক্ত করে জিতেন্দ্র চৌধুরী। এবং তারা যে দাবি উত্থাপন করেছে তার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় দেশের ৮.৬ শতাংশ মানুষ এই তালিকায় পড়বে। এর বিরুদ্ধে সরকারের ইতিমধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। এটা রাজ্যের জন্য ঐক্যতা নষ্টের চেষ্টা এবং জনজাতিদের মধ্যে যুদ্ধ লাগানোর চেষ্টা।
সবচেয়ে দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো আগামী ২৫ ডিসেম্বর এই জমায়েত করার জন্য রাজ্য সরকার ইতিমধ্যে জনজাতির সুরক্ষা মঞ্চকে অনুমতি দিয়েছে। সংবিধান বিরোধী এই কর্মসূচি কিভাবে অনুমতি দিয়েছে পুলিশ প্রশাসন সেই বিষয়টি নিয়েও তিনি এদিন প্রশ্ন তোলেন। জমায়েতের কর্মসূচি যাতে প্রতিহত করে সরকার তার জন্য দাবি জানান তিনি। জনজাতি সুরক্ষা মঞ্চের সমালোচনা করে তিনি আরো বলেন, এডিসি এলাকায় ভিলেজ কমিটির নির্বাচন সংঘটিত হচ্ছে না, ন্যায্য পাওনা মিলছে না এবং শিক্ষার অবস্থা কাহিল। এগুলি নিয়ে কোন কিছুই বলছে না জনজাতি সুরক্ষা মঞ্চ। তারা অসাংবিধানিক কথা বলে রাজ্যে ঐক্যতা নষ্ট করার চেষ্টা করছে। পাশাপাশি এক সাম্প্রদায়িক ইস্যু টেনে বলেন, গত কয়েকদিন আগে বিলোনিয়া সীমান্ত এলাকার ঢিমাতলীর এক মসজিদকে জগন্নাথ মন্দির হিসেবে দাবি করে হিন্দু জাগরণ মঞ্চ। এবং তারা সেখানে উইলিয়ার জারি করে বলে নামাজ পড়া যাবে না। এর জন্য পুলিশকে সেখানে মোতায়েন করা হয়েছে। সবচেয়ে আশ্চর্যজনক বিষয় হলো গত রবিবার ব্লক ভিত্তিক মেলা হয় মসজিদ প্রাঙ্গনে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা। ধর্মনিরপেক্ষতার নামে শপথ গ্রহণ করে ধর্মীয় সুড়সুড়ি দিয়ে আগুন লাগানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি। আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন বিধায়ক সুধন দাস সহ অন্যান্য নেতৃত্ব।