স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৬ নভেম্বর: কখনো নেতার বেশে, আবার কখনো এলাকায় সমাজদ্রোহীর বেশে মোটা অংক কামাই করে চলেছেন পিপলস কংগ্রেসের নেতা প্রদীপ চক্রবর্তী। শাসক দলের ছত্রছায়ায় তিনি আকাশ ছুঁতে জমির দালালি থেকে শুরু করে মানুষের গাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়ার মত অপরাধ মূলক কার্যকলাপ করে চলেছে বলে অভিযোগ।
সামনের ব্যানারে তিনি একজন রাজনৈতিক দলের সুপ্রিমো, আর পেছন সারিতে দাঁড়িয়ে সমাজদ্রোহীর কার্যকলাপ চালাচ্ছে বলে গুঞ্জন গোটা দোর্জয়নগর এলাকায়। তার যন্ত্রণায় কখনো কাউন্সিলর এসে সাধারণ মানুষকে নিয়ে থানা ঘেরাও করছে, আবার কখনো এলাকার মহিলারা রাস্তায় নেমে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে প্রতিবাদ গড়ে তুলছে। কিন্তু সাদা পাজামা পড়া এই প্রদীপ চক্রবর্তীর জমির দালালি করে মোটা অংক কামাই করে একদল যুবককে পালছে এবং ভোটে লড়াই করার সুযোগ নিচ্ছে। এবার তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগটি উঠেছে সেটা হল গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার। অভিযোগ রাতের আঁধারে তার নেতৃত্বে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয় এক ব্যক্তির গাড়ি। দুর্বৃত্তদের নামধাম জানিয়ে এন সি সি থানায় ফের মামলা করলেন দুর্জয়নগর কালীবাড়ি রোড এলাকার লোকজন। অভিযোগ এন সি সি থানাধিন দুর্জয়নগর কালী বাড়ি রোড এলাকায় একটি রাস্তার কাজ করার ক্ষেত্রে বাধা দিয়ে আসছেন সাইন বোর্ড সর্বস্ব পিপলস কংগ্রেসের নেতা প্রদীপ চক্রবর্তী ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা বলে অভিযোগ। এলাকায় জমির দালালি করেন এই প্রদীপ চক্রবর্তী। বর্তমানে তার আতঙ্কে এলাকার লোকজন। রাস্তার কাজে প্রদীপ চক্রবর্তীর বাধা ও বাড়ি ঘরে গিয়ে হুমকির প্রতিবাদ জানিয়ে সম্প্রতি এন সি সি থানায় মামলা ও সুরাহা চেয়ে বিক্ষোভও দেখায় এলাকাবাসী। অভিযোগ এর পড়ে আরও ক্ষেপে যায় জমির দালাল হিসেবে অভিযুক্ত পিপলস কংগ্রেসের নেতা প্রদীপ চক্রবর্তী। বিভিন্ন ভাবে লোকজনকে হুমকি দিয়ে আসছে। রবিবার রাতে রাজীব দাস নামে এক ব্যক্তির গাড়িতে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। অভিযোগ প্রদীপ চক্রবর্তীর নেতৃত্বে সাঙ্গপাঙ্গরা এই কাজ করেছে। আগুনে পুরে যেত গাড়িটি যার বাড়িতে রাখা ছিল সেই হেনা দেবনাথের বাড়িও।
সোমবার এলাকাবাসী ফের এনিয়ে সরব হন এবং সুষ্ঠু বিচার ও দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে এন সি সি থানায় ডেপুটেশন দেন। এদিকে অভিযুক্ত নেতা প্রদীপ চক্রবর্তী অভিযোগ খন্ডন করেছেন। তিনি বলেন এলাকার সিপিআইএম নেতা স্বপন সাহা তার বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচার করে ষড়যন্ত্র চলছে। এ বিষয়গুলি তিনি শাসকদলের শীর্ষ নেতৃত্বদের অবগত করবে বলে জানান। এদিকে প্রদীপ চক্রবর্তীর এক অনুগামী জানান, এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এলাকার দুর্বৃত্ত কুডু দেবনাথ তাকে মারধর করেছে। অভিযুক্তের কঠোর শাস্তি দাবী করেন তিনি। পুলিশ প্রশাসন কার্যকরী ব্যবস্থা নিয়ে এলাকায় শান্তির পরিবেশ বজায় রাখার ক্ষেত্রে পদক্ষেপ নেয় কিনা এখন দেখার? কারণ পুলিশও গা বাঁচিয়ে চলেছে। প্রদীপ চক্রবর্তী কথায় কথায় শাসকদলের দোহাই দিয়ে সংবাদ মাধ্যমের সামনে এসে নিজের বক্তব্য তুলে ধরছেন। আর এতে পুলিশ কাবু হয়ে থানায় বসে থাকছে। কিন্তু মানুষকে ক্ষোভ এতটাই বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে যে সেটা ভবিষ্যতে যে কোন দিকে মন নিতে পারে বলে জানা যায়।