Sunday, September 8, 2024
বাড়িরাজ্যঅপহরণ হওয়া শ্রমিক উদ্ধার, আটক ২

অপহরণ হওয়া শ্রমিক উদ্ধার, আটক ২

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১১ অক্টোবর : ত্রিপুরায় নতুন করে আমদানি হয়েছে অপহরণ, ডাকাতির মতো সংস্কৃতি। বিভিন্ন আইনি বিশেষজ্ঞদের পরিভাষায় রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ভালো স্থানে থাকলেও এ ধরনের ঘটনা যেন রাজ্যে এখন হামেশাই জনগণের চোখে পড়ছে। এরমধ্যে সিপাহীজলা জেলা যেন আইনশৃঙ্খলা অবনতির জন্য আতুর ঘরে পরিণত হয়েছে।

বহিঃরাজ্যের শ্রমিক অপহরণের ঘটনার কিনারা করতে সক্ষম হল আমতলী থানার পুলিশ। গ্রেপ্তার দুই ব্যক্তি। অপহরণকারি মহম্মদ মৈনুল ইসলাম ও জহির হোসেন চৌধুরীকে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে পুলিশ। সোনামুড়া মহকুমার কুলুবাড়ি এলাকা থেকে উদ্ধার অপহুত বহিঃরাজ্যের শ্রমিক জিলাল আহমেদ। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, কাজের সুত্রে আসামের বাজারিছড়া থানা এলাকার বাসিন্দা জিলাল আহমেদ ত্রিপুরা রাজ্যে আসে। রাজ মিস্ত্রীর যোগালি হিসাবে সে বাধারঘাট এলাকায় কাজ করতো। ৮ অক্টোবর রাজধানীর বাধারঘাট এলাকা থেকে তাকে অপহরণকরে নিয়ে যায় অপহরণকারিরা। অপহরণের পর অপহরণকারিরা জিলাল আহমেদের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে মোটা অঙ্কের মুক্তি পণ দাবি করে। মুক্তি পণ দেওয়ার নাম করে জিলাল আহমেদের পরিবারের লোকজন অপহরণকারিদের কথামতো মঙ্গলবার সোনামুড়া মহকুমার বক্সনগরে যায়। এবং জিলাল আহমেদের পরিবারের লোকজন সুকৌশলে জহির হোসেন চৌধুরী নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে কলমচৌরা থানার পুলিশের হাতে তুলে দেয়।

 কিন্তু পরিবারের লোকজন জিলাল আহমেদকে উদ্ধার করতে ব্যর্থ হয়। তারপর অপহুত জিলাল আহমেদের পরিবারের লোকজন মঙ্গলবার বিকালে আমতলি থানার পুলিশের দ্বারস্থ হয়। অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে তদন্ত শুরু করে আমতলি থানার পুলিশ। এসডিপিও আমতলি আশিস দাসগুপ্ত জানান ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ প্রথমে এডিনগর চারিপাড়া এলাকা থেকে মহম্মদ মৈনুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর জানা যায় এই ঘটনার সাথে যুক্ত জহির হোসেন চৌধুরী কলমচৌরা থানার পুলিশের হেপাজতে রয়েছে। তারপর পশ্চিম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরবানের নেতৃত্বে সোনামুড়া ও কলমচৌরা থানার সহযোগিতা নিয়ে যৌথ ভাবে সোনামুড়া ও কলমচৌরা থানা এলাকায় অভিযান চালানো হয়। ধৃতদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক সোনামুড়া মহকুমার কুলুবাড়ি এলাকা থেকে অপহুত বহিঃরাজ্যের শ্রমিক জিলাল আহমেদকে উদ্ধার করা হয়। ধৃতদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট একটি মামলা রুজু করা হয়েছে এডিনগর থানায়। এসডিপিও আমতলি আশিস দাসগুপ্ত আরও জানান ধৃত মহম্মদ মৈনুল ইসলামের বাড়ি আসামের বাজারিছড়া থানা এলাকায়। সে চারিপাড়া এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছে। অপর অভিযুক্ত জহির হোসেন চৌধুরীর বাড়ি বিলোনিয়ার সুকান্তনগর এলাকায়। পুলিশ অপহরণকারি ও অপহৃত ব্যক্তিকে উদ্ধার করতে সক্ষম হলেও এখনো অপহরণের কারন জানা যায় নি। তবে পুলিশ ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে যাচ্ছে এই অপহরণের ঘটনার উদ্দেশ্য জানার জন্য।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য