Saturday, March 15, 2025
বাড়িরাজ্যআজ মানুষের সম্মান, অধিকার পর্যন্ত উপেক্ষিত : মানিক

আজ মানুষের সম্মান, অধিকার পর্যন্ত উপেক্ষিত : মানিক

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৫ এপ্রিল : বর্তমান নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকারের আমলে মানুষের মধ্যে হিংসা বেড়েছে, দারিদ্রতা বেড়েছে, বৈষম্যতা বেড়েছে, অনাহার মৃত্যু বেড়েছে, নিরক্ষরতা বেড়েছে, বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু বাড়ছে। কারণ এ সরকার মানুষের সমস্যা সমাধানে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ। শুধু তাই নয় আজ মানুষের সম্মান, অধিকার পর্যন্ত উপেক্ষিত। ফলে গত ৭-৮ বছরে দেশে এক লক্ষের অধিক কৃষক আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে।

 এমনকি কাজ না থাকায় ২০২১ সাল পর্যন্ত বর্তমান সরকারের আমলে ৪২ হাজার শ্রমিক আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে। এই গুরুতর অভিযোগটি কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বুধবার এক সমাবেশের মধ্যে দিয়ে তুললেন সি আই টি ইউ -র রাজ্য সভাপতি তথা প্রাক্তন মন্ত্রী মানিক দে। উল্লেখ্য, দিল্লিতে সংগঠিত মজদুর কিষান সংঘর্ষ রেলির সমর্থনে বুধবার আগরতলার প্যারাডাইস চৌমুহনীতে এক সংহতি সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সি আই টি ইউ, কৃষক সভা ও খেতমজুর ইউনিয়ন এই সংহতি সমাবেশের উদ্যোগে মোট ১৩ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে এই সমাবেশের আয়োজন। এদিনের সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বামফ্রন্টের আহ্বায়ক তথা কৃষক নেতা নারায়ন কর, সি আই টি ইউ -র নেত্রী তথা সমাজসেবী পাঞ্চালি ভট্টাচার্য, সি পি আই এম পশ্চিম জেলার সম্পাদক রতন দাস, এ ডি সি এর প্রাক্তন মুখ্য কার্যনির্বাহী সদস্য রাধাচরণ দেববর্মা সহ আরো অনেকেই। বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রাক্তন মন্ত্রী মানিক দে আরো বলেন বিদ্যুতের নতুন আইন তৈরি করা হচ্ছে। এই নতুন আইনে  ধনী এবং গরীবকে একই হারে বিদ্যুতের মূল্য দিতে হবে। এই আইন যদি পাস হয়ে যায় তাহলে অধিকাংশ লোক বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে পারবে না। গরিবদের পক্ষে বিদ্যুৎ ব্যবহার করা কঠিন হবে। তিনি আরো বলেন কর্পোরেট সেক্টর দের হাতে বিজেপি ঢালাও হারে সরকারি সম্পদ গুলো তুলে দিচ্ছে। ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছে প্রাকৃতিক সম্পদ। চাল, ডাল,তেল,লবণ সহ দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার্য প্রতিটি উপাদানের ওপর জিএসটি লাগু করা হয়েছে। কিন্তু কর ছাড়ের ব্যবস্থা করে দেওয়া হচ্ছে কর্পোরেট সেক্টরদের।  কৃষক নেতা নারায়ণ কর বলেন কিছু সংখ্যক উৎপাদক শ্রেণী ভারত সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করতে বাধ্য হচ্ছে। দেশে উৎপাদক শ্রেণীর মধ্যে শতকরা ৯৫ জন হচ্ছে অসংগঠিত ক্ষেত্রের। আর ত্রিপুরা রাজ্যে ১০০ শতাংশ অসংগঠিত ক্ষেত্রে কাজ করে। এই অসংগঠিত ক্ষেত্রে কাজ করবার সুযোগ নিয়ে তাদের ওপরে বলগাহীন আক্রমণ, অত্যাচার সংঘটিত হচ্ছে। এই সংহতি সমাবেশে বক্তব্য রাখেন এডিসির প্রাক্তন মুখ্য কার্যনির্বাহী সদস্য রাধাচরণ দেববর্মা, প্রাক্তন বিধায়ক রতন দাস প্রমূখ। তারাও তাদের বক্তব্যে বর্তমান আর্থসামাজিক অবস্থান তুলে ধরেন।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য