স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ১৭ জুন : আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনায় মৃতদের মধ্যে এখনও পর্যন্ত ১২৫ জনের দেহ শনাক্ত করা গিয়েছে। এর মধ্যে ৮৩ জনের দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। সোমবার একথা জানান গুজরাটের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্ষ সাঙ্ঘভি। যে ল্যাবে মৃতদের দেহ শনাক্ত করার জন্য DNA টেস্ট করা হচ্ছে গান্ধীনগরের সেই ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরি পরিদর্শন করেন মন্ত্রী।
ন্যাশনাল ফরেন্সিক সায়েন্স ইউনিভার্সিটি (NFSU) এবং FSL-এর টিম যৌথভাবে DNA টেস্টের কাজ করছেন। সকলের প্রশংসা করে মন্ত্রী বলেন, “ শেষ কয়েকদিন ধরে সকলে মিলে দিনরাত DNA টেস্টের কাজে লেগে রয়েছেন।” সোমবার রাতে গুজরাটের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রুষিকেশ পটেল এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করে জানান, রাত ১০ টা ২৫ পর্যন্ত ১২৫ জনের দেহ শনাক্ত করা গিয়েছে। ১২৪ জনের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৮৩ জনের দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে দুর্ঘটনার পর থেকেই যুদ্ধকালীন তৎকালীন তৎপরতায় কাজ করেছেন উদ্ধারকারী দল, পুলিশ, আহমেদাবাদ পুরসভা, সিভিল হাসপাতালের চিকিৎসক এবং অন্য কর্মীরা। এরপরেও দেহ শনাক্তকরণের কাজ শম্বুক গতিতে এগোচ্ছে। নেপথ্য ডিএনএ পরীক্ষা। এই পরীক্ষার মাধ্যমে দেহ শনাক্তকরণের কাজ চলেছে গুজরাটের ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে। মৃতদের আত্মীয়রা আহমেদাবাদের সিভিল হাসপাতাল এবং অন্যত্র এসে ভিড় জমাচ্ছেন।
রবিবারই ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে গুজরাটের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপাণীর দেহ শনাক্ত করা হয়েছে। সোমবার প্রশাসনিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রূপাণীর দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। সোমবার পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় গুজরাটের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার আহমেদাবাদ বিমানন্দর থেকে টেক অফের কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই ভেঙে পড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার এআই ১৭১ বিমান। বিমানটি যে মেডিক্যাল কলেজের হস্টেলে এসে ধাক্কা মেরে সেখানেও সে সময় একাধিক ডাক্তারি পড়ুয়া উপস্থিত ছিলেন। দুর্ঘটনার জেরে তাঁরাও আহত হন। মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, বিমান দুর্ঘটনায় যে হস্টেলটি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে সেখানে প্রায় ২০০ জন ডাক্তারি পড়ুয়া থাকতেন। সূত্রের খবর, এই দুর্ঘটনার জেরে কমপক্ষে ৪০ জন হবু ডাক্তার জখম হন।