Thursday, March 28, 2024
বাড়িরাজ্যপৃথকভাবে শপথ নিলেন সিপিআইএমের ১১ জন বিধায়ক

পৃথকভাবে শপথ নিলেন সিপিআইএমের ১১ জন বিধায়ক

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৬ মার্চ :  ছন্নছাড়া বিধানসভার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান। বিধানসভার লোভীতে শপথ গ্রহন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না সিপিআইএমের বিধায়করা। পৃথকভাবে প্রোটেম স্পিকারের কক্ষে শপথ গ্রহণ করলেন তাঁরা। উল্লেখ্য, সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে বহুমুখী দলের তরজার লড়াই ছিল। ২ মার্চ ভোটের ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পর দেখা যায় ৩৩ টি আসন পেয়ে সরকারে দ্বিতীয় বারের জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বিজেপি ও আই পি এফ টি জোট সরকার। বিরোধীদল বামফ্রন্টের ঝুলিতে গেছে মাত্র ১১ টি আসন, কংগ্রেসের ঝুলিতে গেছে ৩ টি আসন এবং আঞ্চলিক দল তিপরা মথা পেয়েছে ১৩ টি আসন। সুতরাং চমকহীন জয় নিয়ে তিনটি শূন্য আসন রেখেই মন্ত্রিসভা গঠন করেছে দ্বিতীয়বারের মতো প্রতিষ্ঠিত বিজেপি ও আই পি এফ টি জোট সরকার। তারপর নির্ধারিত দিন অনুযায়ী ১৬ মার্চ ছিল সবকটি রাজনৈতিক দলের বিধায়কদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান। যদিও আমন্ত্রণ পেয়ে তিপরা মথার পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে আগামী ১৭ মার্চ তাদের দলের বিধায়করা প্রোটেম স্পিকারের কাছ থেকে শপথ গ্রহণ করবেন।

উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো এই দিন সিপিআইএমের নবনির্বাচিত বিধায়করা বিধানসভার লোভীতে অনুপস্থিত ছিলেন। পরবর্তী সময় সিপিআইএম দলের বিজয়ী ১১ জন বিধায়ক প্রটেম স্পিকারের কক্ষে গিয়ে পৃথকভাবে শপথ গ্রহণ করলেন। শপথ গ্রহণে প্রধান মুখ ছিল সাব্রুম বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক জিতেন্দ্র চৌধুরী। তিনি শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে পর বাকি ১০ জন বিধায়ক একের পর এক শপথ গ্রহণ করলেন। শপথ গ্রহণের পর জিতেন্দ্র চৌধুরী জানান, আজ সিপিআইএমের বিধায়কেরা সংবিধানের নামে শপথ গ্রহণ করে বিধায়ক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। আগামী পাঁচ বছর ৪০ লক্ষ রাজ্যবাসীর জন্য এই বিধায়করা কাজ করবেন। পাশাপাশি অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, বাক স্বাধীনতা এবং সংবিধান রক্ষার জন্য কাজ করা হবে। আগামী পাঁচ বছর সরকার যে কাজ করবে তা সাধ্যের বাইরে থেকেও সহযোগিতা করবে বলে জানান জিতেন্দ্র চৌধুরী।

 কিন্তু রাজ্যের উন্নয়ন ব্যাহত এবং জনগণের স্বার্থ বিরোধী কাজ যদি দেখা যায় তাহলে রাজ্যবাসীকে নিয়ে বিধানসভার ভেতরে এবং বিধানসভার বাইরে আওয়াজ তোলা হবে। পাশাপাশি চব্বিশ মার্চ থেকে বিধানসভা অধিবেশন প্রসঙ্গে জিতেন্দ্র চৌধুরী বলেন, দাবি করা হচ্ছে যাতে যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে সরকারের প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সেটা যাতে তারা লিখিতভাবে এই অধিবেশনে কার্যকরী করতে উদ্যোগ গ্রহণ করেন। এদিকে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে অনুপস্থিত ছিলেন ৬ আগরতলা বিধানসভা কেন্দ্রের বিজয়ী প্রার্থী সুদীপ রায় বর্মন। অপরদিকে ফাঁকা আসন হলো ধনপুর বিধানসভা কেন্দ্র। কারণ বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়িকা প্রতিমা ভৌমিক বুধবার পদত্যাগ করেছেন। এই বিধানসভা কেন্দ্রে উপ নির্বাচন নিশ্চিত। বিধায়ক বীরজিৎ সিনহা শপথ গ্রহণের পর জানিয়েছেন সুদীপ রায় বর্মন কেন এদিন শপথ নিতে আসেনি সে বিষয়টা তিনি জানেন না। তবে শপথ গ্রহণের জন্য আরও সময় রয়েছে। তবে তরজার লড়াই শুধু বিধানসভা নির্বাচনের আগেই নয়, নির্বাচনী পরেও রয়েছে এই তরজার লড়াই।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য