স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৩ মার্চ : রাজ্যের ভোট পরবর্তী হিংসা শেষ পর্যন্ত পার্লামেন্ট পর্যন্ত গড়িয়েছে। ২ মার্চ ভোটের ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পর ১১ দিন অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও সন্ত্রাস পুরোপুরি ভাবে নিয়ন্ত্রণের বাইরে রয়েছে বলা চলে। বাড়ির ঘরে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর, কর্মীদের মারধর, পরীক্ষার্থীদের বই খাতা পুড়িয়ে দেওয়া, গবাদি পশু পুড়িয়ে মারা, রাবার বাগান জ্বালিয়ে দেওয়া ও জমির কৃষিজ ফসল নষ্ট করে দেওয়া সহ একাধিক সন্ত্রাসের আতঙ্কগ্রস্ত মানুষ। ১০ মার্চ ত্রিপুরার সন্ত্রাসের পরিস্থিতি সরজমিনে দেখতে রাজ্যে এসেছিলেন সাতজনের সংসদীয় একটি দল।
সাংসদদের এই প্রতিনিধি দলটি মোহনপুর, বামুটিয়া, খয়েরপুর, প্রতাপগড়, বাধারঘাট এবং বিশালগড় সহ বিভিন্ন বিধানসভা এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের বাড়িঘর দোকানপাট পরিদর্শন করেছেন। খোঁজ খবর নেন। এই প্রতিনিধি দলকে দুদিন রাজ্য সফরে এসেছিলেন রাজ্যের সন্ত্রাসের যাবতীয় ঘটনা প্রত্যক্ষ করে সে বিষয়টি পার্লামেন্টে তোলার জন্য। কিন্তু দেখা গেছে প্রথম দিনেই বিশালগড়ে নেহাল চন্দনগর এলাকায় গিয়ে শাসক দলের আশ্রিত দুর্বৃত্তদের আক্রমনের মুখে পড়ে কোনক্রমে প্রাণে বেঁচে আগরতলা ফিরে আসেন সংসদের প্রতিনিধি দল। ১১ মার্চ রাজ্যপালের সাথে সাক্ষাৎ করে সংসদের প্রতিনিধি দল একটি চিঠি তুলে দেন। চিঠিতে রাজ্যপালকে ১১৯৯ টি সন্ত্রাসের ঘটনার তালিকা জুড়ে দেওয়া হয়। তারপর তারা দিল্লি উদ্দেশ্যে রওনা হয়। প্রতিনিধি দলের রাজ্যসভার সাংসদ বিনয় বিশ্বম জানিয়েছিলেন বিষয়টি পার্লামেন্টে তোলা হবে। সে মোতাবেক রাজ্যসভায় চেয়ারম্যান জগদ্বীপ ধরখড় -কে সাংসদ বিনয় বিশ্বম চিঠি দিয়ে জানান ত্রিপুরায় সন্ত্রাসের ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছেন। গৃহহীন বহু মানুষ। আইনশৃঙ্খলা এতটাই অবনতি মুখে যে মানুষের জীবন সম্পত্তি হুমকির মুখে পড়েছে। তাই এ বিষয় নিয়ে পার্লামেন্টে আলোচনা করতে চান। যাতে দ্রুত সন্ত্রাসের পরিস্থিতি কঠোর হস্তে মোকাবিলা করে নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। সেদিকে নজর দিয়ে আলোচনার দাবি জানিয়েছেন তিনি।