স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৫ ফেব্রুয়ারি : গত ১৬ ফেব্রুয়ারি শান্তিপূর্ণ ভোট হয়। ভোটের পর রাজ্যে গত পাঁচ দিনে রাজ্যে কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর নেই। আগামী ২ মার্চ রাজ্যের ৬০ টি বিধানসভা কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষনা হবে। এর জন্য জাতীয় নির্বাচন কমিশন ৬০ জন কাউন্টিং অবজারভার নিয়োগ করেছেন।
আগামী সোমবার কাউন্টিং অবজারভাররা রাজ্যে এসে পৌঁছালে তাদের নিজ নিজ কেন্দ্রের দায়িত্ব দেওয়া হবে। শনিবার পশ্চিম জেলাশাসক অফিসের কনফারেন্স হলে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা জানান রাজ্য নির্বাচন কমিশনের মুখ্য আধিকারিক কিরণ গিত্যে। তিনি বলেন, আগামী দুই মার্চ ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পর যাতে রাজ্যে শান্তির পরিবেশ বজায় থাকে তার জন্য গণনার আগে ২৭ এবং ২৮ ফেব্রুয়ারি সমস্ত পুলিং স্টেশনে নাগরিকদের নিয়ে “আমরা অহিংসার পক্ষে, আমরা শান্তির পক্ষে” শীর্ষক নির্বাচন দপ্তর আয়োজিত শান্তির সভার আয়োজন হবে। বর্তমানে ভোটের পর যে শান্তির পরিবেশ ত্রিপুরা রাজ্যে রয়েছে সেটা যাতে আগামী ২ মার্চের পরেও অব্যাহত থাকে তার জন্য রাজ্যবাসীর প্রতি আহ্বান জানান রাজ্য নির্বাচন কমিশনের মুখ্য আধিকারিক। তিনি বলেন সারা দেশের মধ্যে ত্রিপুরার সুনাম রয়েছে। বিশ্বে এবং সারাদেশে ভাষা, সংস্কৃতি, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং গণতান্ত্রিক উৎসবে সর্বাধিক ভোট সহ সব ক্ষেত্রে ত্রিপুরার সুনাম রয়েছে। এবং সি বি এস ই পরীক্ষা শুরু হয়েছে রাজ্যে। কেউ যাতে অশান্তির পরিবেশ সৃষ্টি না করে তার জন্য আহ্বান জানান কিরণ গিত্যে। আর বলেন, দেশবাসীর নজর ত্রিপুরার দিকে রয়েছে।
ত্রিপুরায় যদি কোন ধরনের ঘটনা সংগঠিত হয় তাহলে সেই খবরটি দ্রুত সামাজিক মাধ্যমের মাধ্যমে দেশবাসীর মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। তাই কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা সংঘটিত হলে সেই খবরটি ফলে মানুষের মধ্যে প্রভাব পড়তে পারে। যার ফলে শিক্ষা ক্ষেত্রে এবং পেশাগত দিকে ত্রিপুরা থেকে রাজ্যের বাইরে এবং বিশ্বে যে কোন জায়গায় গিয়ে সমস্যা হতে পারে রাজ্যের ছেলে মেয়েদের। তাই সকলকে হিংসাত্মক ঘটনা থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানান রাজ্য নির্বাচন কমিশনের মুখ্য আধিকারিক। আরো বলেন শুধু নিরাপত্তা কর্মী থাকলে চলবে না, প্রত্যেকটা নাগরিক তার নিজ এলাকায় শান্তি পরিবেশ বজায় রাখতে সংকল্পবদ্ধ হতে হবে বলে জানান। এদিন তিনি গণনার প্রসঙ্গে বলেন, গণনা কেন্দ্র রয়েছে মোট ৬০টি। ২১ স্থানে হবে ভোট গণনা কেন্দ্র। কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকবে। সকাল আটটা থেকে শুরু হবে ভোট গণনা।