স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৫ ফেব্রুয়ারি : ভাজপার নিচু মহল থেকে একেবারে উপর মহল পর্যন্ত কারোরই মন মেজাজ ভালো নেই। স্নায়ুর চাপ ক্রমশ বাড়ছে। সকলের মধ্যে ফলাফল নিয়ে হতাশা কাজ করছে। কারণ ১৬ ফেব্রুয়ারি ভোটের পর থেকে গোটা রাজ্যে প্রধান বিরোধী দল বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেসের নেতৃত্ব জয় নিয়ে অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসী। আর বিরোধীদের এই আত্মবিশ্বাস দেখে পরাজয়ের আতঙ্কে ভুগছে রাজ্য বিজেপি।
তাই কর্মীদের মনোবল জোগাতে শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে প্রদেশ বিজেপির পর্যালোচনা বৈঠক। শুক্রবার প্রদেশ বিজেপির নির্বাচনী কার্যালয়ে বিভিন্ন কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় পর্যালোচনা বৈঠক। শনিবার প্রদেশ বিজেপির নির্বাচনী কার্যালয়ে বিভিন্ন মোর্চার নেতৃত্বদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় গুরুত্বপূর্ণ পর্যালোচনা বৈঠক। উপস্থিত ছিলেন প্রদেশ বিজেপির সভাপতি রাজিব ভট্টাচার্য, প্রদেশ বিজেপির নির্বাচনী প্রভারি মহেন্দ্র সিং সহ অন্যান্যরা।
এক সাক্ষাৎকারে প্রদেশ বিজেপি সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য জানান আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে প্রদেশ বিজেপির বিভিন্ন মোর্চার নেতৃত্বরা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে। তাই তাদেরকে নিয়ে এইদিন পর্যালোচনা বৈঠক করা হচ্ছে। এইটা একটা রুটিন বৈঠক বলেও জানান তিনি। তবে যাইহোক ফলাফল ভালো আর খারাপ কি হতে চলেছে সেটা নিয়ে একপ্রকার ভাবে দলের অন্দরে বুঝা করা হয়ে গেছে বলা চলে। তাই এবার কৌশল খুঁজছে বিজেপি। কারণ যে বাইক বাহিনী দিয়ে বিজেপির রাজ দীর্ঘ পাঁচ বছর ত্রিপুরা সফল হয়েছে সেই বাইক বাহিনীর রাজ কতটা পরিস্থিতির সাথে তাল মিলিয়ে ধরে রাখতে পারবে সেটাও ভেবে কূলকিনারা করতে পারছে না বিজেপি। কারণ বাইক বাহিনী জামা বদলাতে সময় লাগে না। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে সেই বাইক বাহিনীদের কাছে না পাওয়ায় বিপি বাড়ছে নেতাদের। কারণ সাধারণ মানুষকে কাছ থেকে ভোটের পর যেমন স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া পাচ্ছে না বিজেপি। তাই চাকা কোন দিকে ঘুরছে সেটা ভালো করে বুঝছে নেতারা। তাই নির্বাচন কার্যালয়ে ডেকে কর্মী ও কার্যকর্তাদের সান্তনা দিচ্ছে নেতারা। এদিনের বৈঠকে মোর্চার নেতাদের উপস্থিতি ছিল অনেক কম।