স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১১ জানুয়ারি : গত ৩ জানুয়ারী মহাকরণ অভিযান সংগঠিত করে ১০,৩২৩-র যৌথ মঞ্চের নেতৃত্ব আবারো মামলায় ঝুললেন। তাদের দাবি আগাম পুলিশ প্রশাসনকে অবগত করে কর্মসূচি সংঘটিত করা হয়েছিল। কিন্তু এই অভিযান নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা নেয় পুলিশ। সেই মোতাবেক ১০৩২৩-র নেতৃত্বদের মধ্যে ৬ জনকে বুধবার অভয়নগর ফাঁড়িতে ডাকা হয়। যাদের বিরুদ্ধে মামলার হাতে নেওয়া হয়েছে তারা হলেন বিজয়কৃষ্ণ সাহা, কমল দেব, ডালিয়া দাস, পিয়ালী চৌধুরী, সুমন দাস এবং অজয় দেববর্মা। পুলিশের পক্ষ থেকে তাদের মামলা সম্পর্কে অবগত করা হয়।
জামিন অযোগ্য ধারায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা নেয় পুলিশ। পুলিশ প্রশাসন উপরের নির্দেশে কিছু ধারা যুক্ত করে মামলায় জড়িয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ চাকুরিচ্যুত শিক্ষক বিজয় কৃষ্ণ সাহার। সদর মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সহ অন্যান্য পুলিশ অফিসারদের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে এদিনের মহাকরণ অভিযান সংঘটিত করা হয়েছিল। কিন্তু পুলিশের পক্ষ থেকে এমন কোন বিষয় জানানো হয়নি যে মিছিল সংঘটিত করা যাবে না। তারপরও যেহেতু এভাবে মামলা নেওয়া হয়েছে, তাতে বারবারই স্পষ্ট হচ্ছে পুলিশ রাজনীতি করনের মাধ্যমেই পক্ষপাতিত্ব করছে। বিষয়গুলি নির্বাচন কমিশনের নজরে আনা হবে। তিনি আরো জানান, সেদিন পুলিশকে কোন ধরনের দুর্ভোগ দেয়নি ১০,৩২৩ -এর চাকরিচ্যুত শিক্ষক শিক্ষিকারা। পুলিশ সার্কিট হাউস এলাকায় বেরিকেড দিয়ে মিছিল আটকে দেওয়ার পর মিছিল নিয়ে আর এগিয়ে যাওয়া হয়নি। পুলিশ প্রশাসন জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা হাতে নিয়েছে।
তারা আরো জানান, সেদিন পুলিশ অফিসারের কথা অনুযায়ী রাস্তা খালিও করে দেওয়া হয়েছিল। বেরিকেডে পর্যন্ত হাত দেওয়া হয়নি বলে জানান। তিনি জানান, যেহেতু পুলিশ মেরুদণ্ড বিকিয়ে এ ধরনের মামলা নিচ্ছে তার খেসারত আদালতে গিয়ে দিতে হবে তাদের। নির্বাচন কমিশনকে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেওয়া হবে তারা কিভাবে সরকারের পক্ষপাতিত হয়ে কাজ করছে। তাদের এ ধরনের কাজ আইন বহির্ভূত বলে ক্ষোভ উপড়ে দেন তিনি। এদিন তিনি পুলিশের বিরুদ্ধে সতর্কের সাথে বলেন, পুলিশের এভাবে পক্ষপাতিত্ব কারণে আগেও কয়েকটি মামলা চলে রয়েছে। তাই ইতিমধ্যে রাজ্য পুলিশের মহা নির্দেশক যদি নিচু মহলের অফিসারদের এই বিষয়গুলি নজর না দেয় তাহলে পুনরায় পুলিশের বিরুদ্ধে আরও মামলা করা হবে। আরো জানান লড়াইটা পুলিশ আর ১০,৩২৩ -এর নয়। তাই পুলিশকে এ ধরনের মিথ্যা মামলা থেকে দূরে সরে আসতে জানান তিনি।