স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৫ ডিসেম্বর : নারী-পুরুষ সমাজে সমান অধিকার ভোগ করবে। আর এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এই অধিকার সম্পর্কে রাজ্যে তথাকথিত মহিলা কমিশন কতটা মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে পেরেছে সেটাই বড় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে বর্তমান সময়ে। কারণ আজও নারীদের সভ্য সমাজের মধ্যে টিপ্পনি শুনতে হয়।
এমনই এক ঘটনার সাক্ষী রইল তেলিয়ামুড়াবাসী। যুবকদের টিপ্পনী সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন ২৭ বছর বয়সী এক শিক্ষিত যুবতী। ঘটনা তেলিয়ামুড়া থানা এলাকায়। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, গত বুধবার সকালে নিজ বাড়িতে বিষ পান করে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে শম্পা মজুমদার।
বিষয়টি টের পেয়ে শম্পাকে পরিবারের লোকজনেরা নিয়ে যায় তেলিয়ামুড়া হাসপাতালে। কর্তব্যরত চিকিৎসক সম্পার শারীরিক অবস্থা অবনতি দেখে জিবি হাসপাতালে রেফার করেন। কিন্তু জিবি হাসপাতালে আনার পর চিকিৎসারত অবস্থায় বুধবার রাতে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে শম্পা। বৃহস্পতিবার তার মৃতদেহটি ময়না তদন্তের পর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। শম্পার পরিবারের লোকজনদের অভিযোগ সে কলেজ উত্তীর্ণ হওয়ার পর বাড়ি থেকে বের হলে তাকে এলাকার বখাটে ছেলেরা দেখে টিপ্পনি দিতো। তার পরিবার এবং পড়াশোনা নিয়ে বিভিন্ন ধরনের কথা বলতো। তাই শেষ পর্যন্ত শম্পা মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবার পরিবারের লোকজনদের হাতে মৃতদেহ তুলে দেওয়ার পর কান্নায় ভেঙে পড়ে। জিবি হাসপাতাল চত্বরে নেমে আসে শোকের ছায়া। এভাবে আরো কত শম্পা আত্মহত্যা করলে রাজ্য মহিলা কমিশনের কুম্ভ নিদ্রা ভাঙবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। রাজ্যে প্রতিদিন নারী সংক্রান্ত অপরাধ লাফিয়ে বাড়লেও মাঠে ময়দানে দেখা মেলে না মহিলা কমিশনের তথাকথিত চেয়ারপার্সন সহ অন্যান্যদের। জনগণের পয়সা দিয়ে তাদের মাসিক বেতন, গাড়ি সবকিছু সুযোগ সুবিধা মিললেও অফিস কক্ষ থেকে তারা বের হতে চান না। আর এই দুর্বলতার কারণে হয়তো শম্পার মতো একটি নিরীহ যুবতী বলি হতে হয়েছে। শম্পার অসহায় মা-বাবার কি সুষ্ঠু বিচার পাবে ? তা জানা নেই সভ্য সমাজের। কিন্তু দাবি উঠেছে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে কঠোর শাস্তি ব্যবস্থা করার জন্য।