Friday, March 29, 2024
বাড়িরাজ্যমহা জোটের ইঙ্গিত দিলেন সুদীপ

মহা জোটের ইঙ্গিত দিলেন সুদীপ

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৭ নভেম্বর : শিক্ষামন্ত্রী বয়সের দরুনেই হোক, আর টাকা গুনতে গুনতেই হোক, মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছেন। সুরমা বিধানসভার অন্তর্গত মরাছড়া বাজারে কংগ্রেসের এক যোগদান সভায় বাক্ বর্শায় এভাবেই আক্রমণ করলেন সুদীপ রায় বর্মণ। তিনি বলেন,গত পৌনে পাঁচ বছরে ত্রিপুরায় কোন কর্মসংস্থান হয়নি। বেকাররা হন্য হয়ে ঘুরছে।

কারণ এই সরকার দীর্ঘ পৌনে পাঁচ বছরে ত্রিপুরা রাজ্যে কোন শিল্প নিয়ে আসতে পারেনি। আর শিল্প চালানোর মতো অবস্থা রাজ্যে নেই। কারণ দুর্নীতির জন্য হাইকোর্টের নির্দেশে টিআইডিসির চেয়ারম্যান টিংকু রায়ের অফিসে তালা ঝুলছে। যা কয়েকটি শিল্প ত্রিপুরা রাজ্যের ছিল সেগুলিও রাজ্য ছেড়ে পালিয়ে গেছে। শূন্যপদ গুলি বছরের পর বছর ধরে সরকারি দপ্তরে পড়ে রয়েছে। রাজ্যে যে কয়েকটি চাকরি হয়েছে সেগুলি ব্যাপক অনিয়ম এবং দুর্নীতিতে হয়েছে। এবং যারা চাকরি পাচ্ছে তাদের অর্থ রয়েছে।

তবে যেসব কর্মচারীরা সরকারি দপ্তরগুলিতে রয়েছেন তারা মহার্ঘ ভাতা নিয়ে বঞ্চনার শিকার হতে হচ্ছে। এবং প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা নিয়ে চলছে চরম দুর্নীতি। টাকা না দিলে বিজেপি ক্যাডার, মন্ডল এবং পঞ্চায়েত প্রধানদের জন্য ঘর মিলছে না। আর এইগুলি মানুষ সহ্য করতে না পেরে বিজেপি ছেড়ে যোগদান করছে কংগ্রেসে। আরো বলেন, গ্রাম অঞ্চলের রাস্তাঘাটের অবস্থা বেহাল হয়ে আছে। এ রাস্তাঘাট সংস্কার করা হলেও অত্যন্ত নিম্নমানের কাজ হচ্ছে। রাস্তার জন্য বরাদ্দ টাকা লুট হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেন তিনি। শ্রী বর্মণ আরো বলেন ত্রিপুরা রাজ্যের যেসব ঠিকাদার উন্নয়নমূলক কাজ বরাত নিয়ে করতে পারে তা তাদের দিয়ে না করিয়ে বহির্রাজ্য থেকে ঠিকাদার এনে অতিরিক্ত মূল্যে কাজ করানো হচ্ছে।

 স্বাস্থ্য ব্যবস্থার প্রসঙ্গ টেনে বলেন হাসপাতাল গুলিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে চিকিৎসক নেই, স্বাস্থ্যকর্মী নেই। ক্যান্সার হাসপাতালে মেশিন নষ্ট হয়ে দীর্ঘ সময় ধরে পড়ে হয়েছে।‍ মানুষ কোথায় যাবে তা নিয়ে সরকারের উদ্দেশ্যে এদের মধ্যে প্রশ্ন তুলেন সুদীপ রায় বর্মণ। ড্রাগস বানিজ্যের সাথে সরাসরি বিজেপির নেতৃত্বরা জড়িত। ছাত্র যুব সমাজ এ নেশার মধ্যে ডুবে যাচ্ছে। এ রমরমা বাণিজ্যের জন্য পুলিশকে দোষ দিয়ে কোন লাভ নেই। এর থেকে রেহাই পেতে রাজ্যের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এবং ধর্মনিরপেক্ষ দল কংগ্রেস বিজেপিকে ত্রিপুরা রাজ্য থেকে উৎখাত করতে যা যা করার করবে বলে আশ্বস্ত করেন কর্মীদের। আরো বলেন বহু দলের সাথে কংগ্রেসের আদর্শের মিল রয়েছে। তাই সেই সব দলের সাথে কথাবার্তা চলছে। আগামী দিন মিলেমিশে তাদের উৎখাত করা হবে বলে জোটের ইঙ্গিত দিলেন সুদীপ রায় বর্মন। আরো বলেন অন্যায় ভাবে বিভিন্ন জিনিসপত্রের উপর ট্যাক্স বসানো হয়েছে।

গর্ভবতী মহিলা থেকে শুরু করে শ্মশান পর্যন্ত এই জি এস টি বহন করতে হচ্ছে মানুষকে। আগামী নির্বাচনে কংগ্রেস এই সংকল্পের লড়াই লড়বে বলে জানান তিনি। সেদিন আরো কর্মী সমর্থকদের উৎসাহিত করে বলেন প্রতিবাদ এবং প্রতিহত করতে হবে। ভয় পাওয়ার কিছু নেই। বহু মার খেয়েছেন এখন এই বর্বরতা এবং বাইক বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। এই বর্বরতা এবং বাইক বাহিনী হলো বিজেপি পুঁজি এমনটাই জানান শ্রী বর্মন। পাশাপাশি এই দিন স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তিকে সামনে রেখে বিজেপিকে আক্রমণ করেন তিনি। তিনি বলেন স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের ছবি না ঝুলিয়ে নিজেদের নেতা মন্ত্রীদের ছবি ঝুলিয়েছে বিজেপি। আবার তারা নিজেদের রাষ্ট্রবাদী দল বলে দাবি করে। এমনটাই বলে কটাক্ষ করেন তিনি। আয়োজিত যোগদান সভায় বহু কর্মী সমার্থক বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে যোগদান করেন কংগ্রেসে। যোগদানকারীদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দিয়ে দলে স্বাগত জানান প্রাক্তন বিধায়ক আশীষ সাহা, সর্বভারতীয় কংগ্রেসের সম্পাদিকা জারিতা লাইফ্রাং সহ অন্যান্যরা।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য