স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৭ নভেম্বর : প্রতি ঘরে সুশাসন অভিযানের অঙ্গ হিসেবে বিভিন্ন স্থানে প্রশাসনিক শিবির করে প্রয়োজনীয় নথী তুলে দেওয়া হচ্ছে মানুষের হাতে। মানুষকে এখন দপ্তর মুখী হতে হচ্ছে না। দপ্তর যাচ্ছে মানুষের কাছে। ১০০ শতাংশ সুবিধা মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে চায় সরকার। উন্নত প্রযুক্তির সুবিধা গ্রহণ করা আবশ্যক। প্রযুক্তির ব্যবহার মানুষকে সন্তুষ্ট করতে পেরেছে।
তার লক্ষ্যেই আমার সরকার ওয়েব পোর্টালের সূচনা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার গ্রামন্নোয়ন দপ্তরের উদ্যোগে মুক্তধারা অডিটোরিয়ামে আয়োজিত “আমার সরকার” পোর্টালের সূচনা করে মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা একথা বলেন। তিনি বলেন, একটা ছন্দের মধ্যে রাজ্যবাসী ও দেশবাসী যাতে চলতে পারে তার লক্ষ্যে কাজ করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ব্যতিক্রম নয় রাজ্য সরকারও। ত্রিস্তর পঞ্চায়েত ব্যবস্থায় এর সুফল মিলবে। তবে যে উদ্দেশ্যে তা করা হয়েছে তা যাতে সার্থক হয় সেদিকেও নজর রাখতে হবে বলে জানান তিনি। ”আমার সরকার” এই অনুভব মানুষের মধ্যে জাগ্রত করতে হবে। নির্বাচনের আগে এবং জয়ী হওয়ার পর যাতে মানুষের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি না হয় সেদিকে নজর দিতে হবে জনপ্রতিনিধিদের। তাতে সেতু হিসাবে কাজ করবে এই ওয়েব পোর্টাল। বাধাধরা ব্যবস্থাপনা থেকে বের হয়ে আসতে হবে সকলকে বলে আহ্বান জানান মুখ্যমন্ত্রী। এই সরকার গতি এবং মানুষ মুখী বলে জানান তিনি।
আন্দোলন মানেই রাজ্যের মানুষ বুঝে ঝান্ডা আর ডাণ্ডা নিয়ে মাঠে নামা। এটাই রাজ্যের সংস্কৃতি ছিল। কিন্তু বর্তমান সরকার আন্দোলন মানে বোঝাতে চাইছে জনগনকে সঙ্গে নিয়ে ব্যবস্থার পরিবর্তন ঘটানো। ঝান্ডা আর ডাণ্ডা দিয়ে এই ব্যবস্থার পরিবর্তন সম্ভব নয়। মানুষকে সঙ্গে নিয়ে ভালর জন্য পরিবর্তন ঘটাতে চায় সরকার। সমাজকে আরও উঁচুতে নিয়ে যাওয়া। এটাই হচ্ছে বিপ্লব ও ক্রান্তি। তাই সকলকে সঙ্গে নিয়ে প্রতি ঘড়ে সুশাসন পৌঁছে দিতে চায় সরকার। আগে ছিল প্রতি ঘড়ে চাঁদার রিসিট । এখন হচ্ছে প্রতি ঘড়ে সুশাসন বলে জানান উপ মুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মা।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আর ডি দপ্তরের বিশেষ সচিব ডা সন্দীপ এন রাঠোর সহ অন্যান্যরা। এছারা অংশ নেন জেলা সভাধিপতি, চেয়ারম্যান , ভাইস চেয়ারম্যান, পঞ্চায়েত সমিতি এবং বি এ সি-র চেয়ারম্যান সহ প্রশাসনিক আধিকারিকেরা।