স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৭ নভেম্বর : খোয়াইতে নৃশংসতায় খুন পাঁচ জন। কর্তব্য পালন করতে গিয়ে শহিদ হলেন খোয়াই থানার সেকেন্ড অফিসার সত্যজিৎ মল্লিক৷ খুন হলো দুই অবুুঝ সন্তান সহ আরও চার জন৷ ঘটনা খোয়াই লালটিলা শেওড়াতলির
উত্তর রামচন্দ্রঘাটে। ওই এলাকার প্রদীপ দেবরায় ওরফে কুট্টি গত কয়েকদিন ধরে ‘মানসিক অবসাদে’ ভুগছেন৷ তিনি কারোর সাথে কথাবার্তা বলতেন না৷ শুক্রবার মধ্যরাতে তিনি হঠাৎ উত্তেজিত হয়ে পড়েন৷ ঘরের মধ্যেই শাবল দিয়ে তার দুই সন্তানকে নৃশংসভাবে খুন করে তার স্ত্রী মীনা পাল দেবরায়কে মারাত্মক ভাবে জখম করেছে৷ পরে ঘর থেকে বেরিয়ে প্রদীপ এলাকার বিভিন্ন বাড়ি ঘরে গিয়ে হামলার চেষ্টা করেছে৷ কিন্তু প্রতিবেশীরা ভয়ে ঘর থেকে প্রথম বেরোতে চায়নি৷ কিন্তু পরিস্থিতি এতটাই ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছে যে, প্রতিবেশীরা সকলেই বেরিয়ে পড়েন একসাথে৷ ততক্ষণে গোটা এলাকায় ‘ত্রাস’ সৃষ্টি করেছে প্রদীপ৷ একটা সময় প্রদীপ বেরিয়ে পড়ে ভিড় চৌমুহনী এলাকায়৷ রাস্তা দিয়ে একটি অটো আসছিল৷ ওই সময় প্রদীপ অটোটিকে দাঁড় করিয়ে অটোতে থাকা কৃষ্ণ দাস (৫৪) এবং তার ছেলে করণবীর দাসকে মারাত্মকভাবে জখম করে৷ ঘটনাস্থলেই কৃষ্ণ দাসের মৃত্যু হয়েছে বলে খোয়াই থানা এবং জেলা হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে৷
এদিকে, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান খোয়াই থানার সেকেন্ড অফিসার সত্যজিৎ মল্লিক সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী৷ কিন্তু সত্যজিৎ মল্লিক সেখানে পৌঁছতেই প্রদীপ উন্মাদ হয়ে তার উপর এলোপাথারি কোপ বসাতে থাকে৷ ঘটনাস্থলেই আরও বেশ কয়েকজন রক্তাক্ত ও মারাত্মক ভাবে জখম হয়েছেন৷ যদিও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে প্রদীপকে পাকড়াও করে৷ পরে সকলের সহযোগিতায় রক্তাক্তদের নিয়ে আসা হয় খোয়াই হাসপাতালে৷ সেখান থেকে জিবিতেও রেফার করা হয়৷ কিন্তু, কর্তব্য পালন করতে গিয়ে শহিদ হলেন সত্যজিৎ মল্লিক৷ তাঁকেও রাতেই নিয়ে আসা হয়েছিল জিবি হাসপাতালে৷ খোয়াই জেলার পুলিশ সুুপার কিরণ কুমারকে ফোন করা হলে তিনি জানিয়েছেন, প্রদীপ দেবরায়কে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে৷ এই ঘটনায় ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে৷
প্রদীপ দেবরায়’র দুই কন্যা সন্তান, তার ভাই ও একজন সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে৷ এদিকে মীনা পাল দেবরায়কে জিবিতে রেফার করা হয়েছে৷ করণবীর দাসের চিকিৎসা চলছে খোয়াই হাসপাতালে৷ পুরো ঘটনায় থমথমে পরিস্থিতি। বাক্রুদ্ধ খোয়াই ৷