স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ৩ মে :গ্রামীণ ভারতের উন্নয়নের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির স্বপ্নের বিকশিত ভারত নির্মাণের দিশায় কাজ করছে রাজ্য সরকারের পঞ্চায়েত দপ্তর। যার ফলে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ব্যবস্থা স্ব-শক্তিকরণের মাধ্যমে ত্রিপুরা ইতিমধ্যে দেশে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। বিভিন্ন প্যারামিটারের উৎকর্ষতার সূচক বৃদ্ধির পাশাপাশি জাতীয় পঞ্চায়েতে পুরস্কারে বিগত বছরে সাতটি পুরস্কার লাভ করা তারই প্রমাণ। শনিবার জাতীয় পঞ্চায়েত দিবস উদযাপনের অঙ্গ হিসেবে অরুন্ধতী নগর স্থিত গাম স্বরাজ ভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রেখে এই কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের পঞ্চায়েত দপ্তরের পদাধিকারীদের উন্নত প্রশিক্ষণের জন্য আইআইএম, শিলং -এর সাথে এক মৌ স্বাক্ষর করেন। একই সঙ্গে নয়া স্মার্ট অফিস ও ভিসি অফিসের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। এর পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের সকল পঞ্চায়েতকে দিব্যাঙ্গজন বান্ধব পঞ্চায়েত হিসেবে ঘোষণা দেন। করে পঞ্চায়েত দপ্তরকে মাসিক মুখপত্র ‘গ্রাম সৃজন’ ও বার্ষিক রিপোর্টের আবরণ উন্মোচন করেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী বক্তব্য রেখে বলেন, সরকারের প্রথম গুরুত্বপূর্ণ কাজ হল গ্রামের উন্নয়ন। কারণ দেশের প্রায় ৭৫ শতাংশ গ্রাম রয়েছে। তাই গ্রামের উন্নয়ন হলেই দেশ এগিয়ে যাবে। গান্ধীজী সব সময় স্বপ্ন দেখতেন গ্রামের উন্নয়ন নিয়ে। কিন্তু পঞ্চায়েতে রাজ স্বাধীনতার পর যেভাবে হওয়ার কথা ছিল সেভাবে দেখা যায়নি। কিন্তু বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দায়িত্বভার কাজে নেওয়ার পর থেকেই পঞ্চায়েতের আজ সাজানোর চেষ্টা করা হবে। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ত্রিপুরার পঞ্চায়েতে রাজ বর্তমানে জাতীয় স্তরে পুরস্কৃত হচ্ছে। সবচেয়ে বড় বিষয় হল দেশের আড়াই লক্ষাধিক পঞ্চায়েতের সাথে প্রতিযোগিতা করে প্রথম স্থানে আসছে ত্রিপুরার পঞ্চায়েত। সাতটি পঞ্চায়েতে রাজ পুরস্কার পেয়েছে ত্রিপুরা। এটা সম্ভব হচ্ছে বর্তমান সরকারের সত্যতা, স্বচ্ছতা এবং সচেতনভাব কাজ করার ফলে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন আজকের লক্ষ্য করা যেত মালিকদের সাথে শ্রমিকদের। আয়োজিত অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দপ্তরের আধিকারিকরা।