স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৮ নভেম্বর : গত ৫ নভেম্বর তপশিলি জাতির সমন্বয়ের সমিতির সর্বভারতীয় কনভেনশন অনুষ্ঠিত হয়। এই কনভেনশনে মুখ্য বিষয় হিসেবে উঠে আসে বর্তমানে তপশিলি অংশের মানুষের উপর দৈহিকভাবে আক্রমণ বাড়ার প্রসঙ্গ। ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকার দেশে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর মহিলাদের উপর ৪৫ শতাংশ আক্রমণ বেড়েছে। প্রতিদিন ১০ জন করে মহিলা ধর্ষণের শিকার হচ্ছে।
পাশাপাশি কাজ ও খাদ্যে অভাব। পাশাপাশি শিক্ষা ক্ষেত্রেও তপশিলি অংশের মানুষের বঞ্চিত হওয়ার ব্যবস্থা করেছে সরকার। একই অবস্থা ২০১৮ সালের পর ত্রিপুরা রাজ্য তপশিলি অংশের মানুষের উপর সংগঠিত হচ্ছে। তাই সর্বভারতীয় কনভেনশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ত্রিপুরা তপশিলি জাতি সমন্বয় সমিতির পক্ষ থেকে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার ত্রিপুরা তপশিলি জাতি সমন্বয়ের সমিতির পক্ষ থেকে সাংবাদিক সম্মেলন করে এমনটাই অভিযোগ তুলেন সংগঠনের রাজ্য কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুধন দাস। তিনি আরো বলেন, আগামী দিনে বিধানসভা কেন্দ্রিক জমায়েত করে জনতা আদালতে চার্জশিট দাখিল করে চূড়ান্ত রায়ের জন্য যাবে ত্রিপুরা তপশিলি জাতি সমন্বয় কমিটি। নভেম্বরে তৃতীয় সাপ্তাহ থেকে জনগণের কাছে এ রায় চাইতে যাবেন বলে জানান তিনি। এ সরকার রাজ্যের মানুষের সাথে প্রতারণা করেছে। প্রতিশ্রুতি খেলাপ করেছে বলে অভিযোগ তুলেন তিনি। আরো বলেন, তপশিলি অংশের মানুষের মাছ চাষে বড় ভূমিকা রয়েছে। কিন্তু বর্তমান সরকারের আমলে সরকারি সহযোগিতা না পেয়ে রাজ্যে মৎস্য চাষীরাও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। শুধু মৎস্য চাষেরই নয় চর্ম শিল্পের সাথে যারা জড়িত এবং লন্ডী শিল্পের সাথে যারা জড়িত তাদের উপর একইভাবে আক্রমণ নামে আনা হয়েছে বলে জানান তিনি। এদিন তিনি সাফাই কর্মীদের দৈনিক মজুরি ৬০০ টাকা করে দেওয়ার দাবি জানান।