স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৮ নভেম্বর : শেষ পর্যন্ত জল্পনার অবসান। আশঙ্কা বাস্তব হলো মঙ্গলবার। বিধায়ক পদ থেকে পদত্যাগ করেন ২৬ নং আশারামবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের আই পি এফ টি বিধায়ক তথা প্রাক্তন মন্ত্রী মেবার কুমার জমাতিয়া। এদিন বিধানসভায় গিয়ে অধ্যক্ষ রতন চক্রবর্তীর হাতে পদত্যাগ পত্র তুলে দেন। পদত্যাগ পত্র তুলে দেওয়ার পর মেবার কুমার জমাতিয়া জানান দীর্ঘ চার বছর বিজেপি – আই পি এফ টি মন্ত্রীসভার সদস্য ছিলেন তিনি। জনজাতি কল্যাণ, বন দপ্তর, মৎস দপ্তরের মন্ত্রী হিসাবে চার বছর দায়িত্ব প্রতিপালন করে গেছেন।
২০১৮-র নির্বাচনের আগে জোট হওয়ার সময় কেন্দ্রীয় সরকার বেশ কিছু লিখিত প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। বিজেপি ও আই পি এফ টি-র মধ্যে বেশ কিছু বিষয়ে সমঝোতা হয়। বিশেষ ভাবে উল্লেখ যোগ্য জনজাতিদের আর্থ সামাজিক মানোন্নয়নের জন্য মনিটরিং কমিটি গঠন করার বিষয়টি। বলা হয়েছিল কমিটি গঠনের ৩ মাসের মধ্যে রিপোর্ট পেশ করা হবে প্রকাশ্যে। ত্রিপুরা টেরিটোরিয়াল কাউন্সিল গঠনের জন্য বিধানসভায় বিল পাশ করা হয়েছে। একই সঙ্গে আসন সংখ্যা ৫০ করার প্রস্তাব রাখা হয়। ৪৩ টি দপ্তরকে সরাসরি অর্থ প্রদানের বিষয় গুলিও এতে রাখা হয়। কিন্তু চার বছর অতিক্রান্ত হতে চললেও এই বিষয়ে এখনো কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। স্পেশাল ড্রাইভের মাধ্যমে এস টি –দের ভ্যাকেন্ট পোষ্ট গুলি পূরন করার জন্য একাধিকবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে দাবিও জানিয়েছেন বলে জানান তিনি। এই বিষয়েও কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এই সমস্ত বিষয়ে আই পি এফ টি দল এবং সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে বিধায়ক পদ থেকে পদত্যাগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন বলে জানান তিনি। একই সঙ্গে স্পষ্ট করে দেন এখুনি কোন দলে যোগদান করবেন তা ঠিক করেন নি। কিছু দিনের মধ্যেই এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানান মেবার কুমার জমাতিয়া।
বিধানসভার অধ্যক্ষ রতন চক্রবর্তী জানান বিধায়ক মেবার কুমার জমাতিয়া বিধায়ক পদ থেকে পদত্যাগ দিয়েছেন। তবে নির্দিষ্ট কোন কারন জানাননি তিনি। তাঁর পদত্যাগ পত্র গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান অধ্যক্ষ রতন চক্রবর্তী। বিধানসভার বিধায়ক পদ থেকে আই পি এফ টি-র তিন বিধায়কের পদত্যাগের পর তাদের বিধায়ক সংখ্যা কমে দাড়ালো ৫ । সূত্রের খবর মেবার কুমার জমাতিয়া খুব শীঘ্রই তিপ্রা মথা দলে যোগদান করতে চলেছেন। সব ঠিক থাকলে আগামী ১২ নভেম্বর রাজধানীতে অনুষ্ঠিত তিপ্রা মথার সমাবেশে এই যোগদান পর্ব সম্পন্ন হবে বলে সূত্রের খবর। তবে কোন দিকে রাজ্যে বর্তমান পরিস্থিতি ছুটছে তা নিয়ে ভাবিয়ে তুলেছে রাজনৈতিক মহলকে। পাশাপাশি রাজ্যে আইপিএফটি দল যে ক্রমশ অস্তিত্বহীন হয়ে পড়ছে তা আরো একবার এদিন স্পষ্ট হয়ে গেছে।