স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৭ সেপ্টেম্বর : রাজ্যে ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে চুরি ছিনতাই-এর মতো ঘটনা। আর এই সকল ঘটনার পিছনে রয়েছে নেশা সামগ্রী। উঠতি বয়সের যুবক যুবতীরা নেশার টাকার যোগানের জন্য চুরির ঘটনার সাথে যুক্ত হচ্ছে। নেশা কারবারিরা উঠতি বয়সের ছেলে মেয়েদের হাতে তুলে দিচ্ছে নেশা সামগ্রী। পুলিশ দুই একজন নেশা কারবারিকে আটক করলেও নেশার জাল বিছানোর কাজে যারা যুক্ত তাদেরকে গ্রেপ্তার করতে ব্যর্থ। তাই এইবার পুলিশের উপর আস্তা হারিয়ে নেশা কারবারিদের বিরুদ্ধে ময়দানে নামতে বাধ্য হল সাধারন মানুষ। রাজধানীর হাফানিয়া হাসপাতাল রোড স্থিত সবুজপল্লী এলাকায় সম্প্রতি নেশার রমরমা বাণিজ্য চলছে। নেশা কারবারি প্রসেনজিৎ বিশ্বাস ওরফে নানু এলাকার উঠতি বয়সের ছেলে মেয়েদের হাতে তুলে দিচ্ছে নেশা সামগ্রী।
এতে করে এলাকার যুব সমাজ বিপথে যাচ্ছে। তাই মঙ্গলবার নানু এলাকার যুবক যুবতীদের কাছে নেশা সামগ্রী বিক্রয় করতে গেলে তাকে এলাকার লোকজন হাতে নাতে আটক করে উত্তম মধ্যম দিয়ে আটক করে রেখে আমতলি থানার পুলিসকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থালে আসার আগেই এলাকার লোকজন আটক নানুর ঘরে তল্লাশি অভিযান চালায়। এই তল্লাসি অভিযানে নানুর ঘর থেকে উদ্ধার হয় ব্রাউন সুগারের কৌটা, সিরিঞ্জ, শুকনো গাঁজা সহ নেশা সামগ্রী। একই সাথে নানুর ঘর থেকে এক চোর সহ নেশা কিছু চুরির সামগ্রী উদ্ধার করে এলাকাবাসিরা। এলাকাবাসিদের বক্তব্য নেশার টাকার জন্য উঠতি বয়সের যুবকরা চুরি করে বিভিন্ন সামগ্রী নানুকে এনে দেয়। সেই সকল সামগ্রী নানুর ঘরে রয়েছে। সবকিছু পুলিসকে দেখানো হয়েছে। এইদিকে আমতলী থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার পর ধৃত নেশাকারবারি প্রসেনজিৎ বিশ্বাস ও চোরকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। এক পুলিশ কর্মী জানান ধৃত নানুর ঘর থেকে শুকনো গাঁজা, ব্রাউন সুগারের খালি কৌটা, ইয়াবা ট্যাবলেট সহ বিভিন্ন সামগ্রী উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ এতদিন যা করতে পারে নি, এলাকাবসিরা এইদিন তাই করে দেখাল। এলাকার কুখ্যাত নেশা কারবারি নানুকে আটক করে দেওয়া হয়েছে পুলিশের হাতে। এখন দেখার পুলিশ নানুকে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে এই নেশা কারবারের মূল পাণ্ডাকে জালে তুলতে সক্ষম হয় কিনা।