স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। ১৭ জানুয়ারি : সম্প্রতি সোশাল মিডিয়া তোলপাড় হয়েছে বিমানের যাত্রীর বিমান চালককে চড় মারার ঘটনায়। কিন্তু কেন এমন এক অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটল দিল্লি-গোয়া ইন্ডিগো উড়ানে? কী এমন হয়েছিল সেদিন? জানালেন অভিযুক্ত ব্যক্তির সহযাত্রী। জানালেন, তিনি হিংসা সমর্থন করেন না। কিন্তু তবুও ইন্ডিগোকে কাঠগড়ায় তুলতে চান। কেননা ঘটনাটির প্রচারে নিজেদের গাফিলতির দিকটি লুকিয়েছে বিমান সংস্থাটি। এমনই অভিযোগ তাঁর।
সানাল ভিজ নামের ওই যুবক সোশাল মিডিয়ায় দাবি করেছেন, বিমানটি ছাড়ার কথা ছিল সকাল ৭টা ৪০ মিনিটে। কিন্তু শেষপর্যন্ত তা ছাড়ে বিকেল ৫টা ৩৫ মিনিটে। প্রাথমিক ভাবে ঘণ্টা পাঁচেক দেরির পরে ১২টা ২০ নাগাদ ১৮৬ জন যাত্রীর বোর্ডিং সম্পন্ন হয়। যাঁদের মধ্যে শিশু থেকে তরুণ এবং বৃদ্ধ-বৃদ্ধারাও ছিলেন। কথা ছিল ১২টা ৪০ মিনিটে বিমান আকাশে উড়বে। কিন্তু দেখা যায় প্রায় তিনটে পর্যন্ত বিমানের দরজা খোলাই রয়েছে। প্রথমে জানানো হয়েছিল, এখনও এটিসি থেকে ছাড়পত্র না মেলাতেই এই পরিস্থিতি।
কিন্তু দেড়টা নাগাদ বিমান চালক ঘোষণা করেন, এক ক্রু সদস্যের জন্য তাঁরা অপেক্ষা করছেন। এলেই বিমান ছেড়ে দেওয়া হবে। ফলে পরিষ্কার হয়ে যায়, আগের দাবিটি একেবারেই মিথ্যে। সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন, ২টো ৪০ নাগাদ সেই ক্রু সদস্য আসার পরে বিমানের দরজা বন্ধ হয়। কিন্তু তখনও সেটি আকাশে ওড়েনি। ৩টে বেজে যাওয়ার পরও পরিস্থিতি একই ছিল। আরও মিনিট কুড়ি পরে সহকারী বিমান চালক যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলতে আসেন। এর পরই ওই যাত্রী ছুটে এসে চড় মারেন তাঁকে।
অভিযুক্ত ব্যক্তির সহযাত্রী পরিষ্কার জানিয়েছেন, এই ঘটনায় ইন্ডিগোর ব্যবস্থাপনা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। প্রবল যাত্রী অস্বাচ্ছন্দ্যের দিকটি তুলে ধরে তিনি জানান, বয়স্ক যাত্রীরা জল চেয়েও পাননি। খাবারের জন্য বাইরে বেরতে হয়েছিল। এই অপেশাদারিত্বের নজির কেন তৈরি হল তা উড়ান সংস্থার খতিয়ে দেখা উচিত বলেও দাবি করেছেন তিনি। এদিকে অভিযুক্ত যাত্রীকে মঙ্গলবার সন্ধেয় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে অব্যবহিত সময় পরেই তিনি জামিনে মুক্ত হয়ে যান।