স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৪ ডিসেম্বর। নতুন ‘এয়ার গ্লাস (Air Glass)’ ডিভাইসের ঘোষণা দিয়েছে স্মার্টফোন নির্মাতা চীনা প্রতিষ্ঠান অপো। নতুন পরিধেয় ডিভাইসটিকে ‘অগমেন্টেড রিয়ালিটি ডিভাইস’ না বলে ‘অ্যাসিস্টেড রিয়ালিটি ডিভাইস’ বলে আখ্যা দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি; বাস্তব দৃশ্যপটের উপর বস্তুর ত্রিমাত্রিক উপস্থিতি সৃষ্টি না করে স্ক্রিনে দ্বিমাত্রিক তথ্য দেখাবে ডিভাইসটি।
কাজের ধরন বিবেচনায় অপোর ‘এয়ার গ্লাস’কে গুগল গ্লাসের সঙ্গে তুলনা করেছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট ভার্জ। পণ্যটি ২০২২ সালের প্রথম প্রাস্তিকে বাজারজাত করার পরিকল্পনা করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৪১০০ প্রসেসর থাকবে অপোর এয়ার গ্লাসে। সব মিলিয়ে ওজন হবে ৩০ গ্রাম। অপো বলছে একটানা ৩ ঘন্টা ব্যবহার করা যাবে ডিভাইসটি, স্ট্যান্ডবাই অবস্থায় থাকবে ৪০ ঘন্টা। রূপালী হাফ ফ্রেম আর কালো ফুল ফ্রেম– এই দুই ডিজাইনে বাজারজাত করা হবে ডিভাইসটি। উভয় ফ্রেমই বাজারে পাওয়া যাবে দুটি আকারে। প্রচলিত চশমার সঙ্গে জুড়ে দেওয়ার জন্য ম্যাগনেটিক পোর্ট থাকবে ডিভাইসটিতে।
এয়ার গ্লাসের ওয়েভগাইড ডিসপ্লেতে ছোট একটি প্রজেক্টরও থাকবে বলে জানিয়েছে ভার্জ। হাতের স্পর্শ, নির্দিষ্ট ভঙ্গিতে হাত ও মাথার নাড়িয়ে, এমনকি সরাসরি কণ্ঠস্বর দিয়েও নিয়ন্ত্রণ করা যাবে ডিভাইসটি। এ ছাড়াও অপোর কালারওএস ১১ এবং পরবর্তী সংস্করণ নির্ভর স্মার্টফোনে ইনস্টল করা অ্যাপ থেকেও নিয়ন্ত্রণ করা যাবে ডিভাইসটি।
নোটিফিকেশন বা দিক নির্দেশনা পেতে এয়ার গ্লাস ব্যবহার করা যাবে বলে জানিয়েছে অপো। এ ছাড়াও ‘টেলিপ্রম্পটিং’ এবং তাৎক্ষণিক অনুবাদের কাজে ব্যবহার করা যাবে ডিভাইসটি। মনোক্রোম ডিসপ্লে থাকবে ডিভাইসটিতে।
তবে ভার্জ বলছে, এয়ার গ্লাসের মূলধারার পণ্য হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার সম্ভাবনা কম। ২০২২ সালের প্রথম প্রান্তিকে ‘সীমিত পরিসরে’ পণ্যটি বাজারজাত করার পরিকল্পনা জানিয়েছে অপো। প্রাথমিক অবস্থায় শুধু চীনের বাজারে বিক্রি হবে ডিভাইসটি।
বার্ষিক ‘ইননো ডে’ আয়োজনের অংশ হিসেবে এয়ার গ্লাসের ঘোষণা দিয়েছে অপো। ওই ডিভাইসটির সঙ্গে নিজেদের প্রথম এনপিইউ চিপ ‘মারিসিলিকন এক্স’ দেখিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি, যা ‘মেশিন লার্নিং’ খাতে ব্যবহৃত হবে। গেল সপ্তাহেই নিজেদের প্রথম ফোল্ডএবল ফোন ‘ফাইন্ড এন’-এর ঘোষণা দিয়েছে অপো।