স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১২ জুলাই। প্রথম মেয়াদে বার্সেলোনায় সাফল্যময় আটটি বছর কাটিয়ে ‘অসন্তুষ্ট মনে’ চলে যাওয়ার পর ক্লাব কর্তৃপক্ষকে মিথ্যাবাদী ও অকৃতজ্ঞ বলেছিলেন দানি আলভেস। সংক্ষিপ্ত দ্বিতীয় মেয়াদ শেষেও তার কণ্ঠে একই ধরনের কথা। ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার বললেন, এখানে ইতিহাস গড়াদের প্রতি সঠিক আচরণ করে না কাতালান ক্লাবটি।
২০০৮ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত বার্সেলোনায় অনেক সাফল্যে অবদান রাখা আলভেস ২০১৬ সালের জুনে যোগ দিয়েছিলেন ইউভেন্তুসে। শুরুতে তিনি ‘নতুন চ্যালেঞ্জের খোঁজে’ দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত জানালেও পরের বছর বার্সেলোনা কর্তৃপক্ষের কড়া সমালোচনা করেছিলেন।তখন অভিযোগ করেছিলেন, চলে যাওয়ার আগে ক্লাবটির কর্তৃপক্ষ তার সঙ্গে অসম্মানজনক আচরণ করেছিল।এরপর ইউভেন্তুস, পিএসজি ও সাও পাওলো হয়ে গত বছরের নভেম্বরে মৌসুমের বাকি সময়ের চুক্তিতে বার্সেলোনায় ফেরেন এই রাইট-ব্যাক। নতুন অধ্যায়ে দলটির হয়ে ১৭ ম্যাচে মাঠে নামেন তিনি। তবে চুক্তি আর নবায়ন না হওয়ায় মৌসুম শেষে ক্লাব ছাড়তে হয় ৩৯ বছর বয়সী ফুটবলারকে।
আপাতত ‘বেকার’ আলভেস ‘দা গার্ডিয়ান’ এর সঙ্গে আলাপকালে বলেন, মন খারাপ করে ক্লাব ছাড়েননি তিনি।“বার্সেলোনায় ফিরতে পেরে আমি খুশি ছিলাম। এখানে দ্বিতীয় মেয়াদের এই সময়টার জন্য পাঁচ বছর স্বপ্ন দেখেছিলাম। একমাত্র যে বিষয়টা আমার ভালো লাগেনি, সেটা হলো তারা আমাকে যেভাবে বিদায় করেছে।”
প্রথম আট বছরে বার্সেলোনার জার্সিতে ছয়টি লা লিগা ও তিনটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সহ অনেক শিরোপা জয়ী আলভেস দ্বিতীয় মেয়াদে এখানে কোনো সাফল্য পাননি। লিওনেল মেসিসহ অনেক অভিজ্ঞ ও গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়দের হারিয়ে শাভি এরনান্দেসের কোচিংয়ে ঘুরে দাঁড়ানো শুরু করে দলটি লা লিগা শেষ করে রানার্সআপ হয়ে। শেষটায় কোনো সাফল্য না মিললেও তাই তেমন খারাপ লাগা নেই জাতীয় দল ও ক্লাব ফুটবল মিলিয়ে রেকর্ড শিরোপা জয়ী আলভেসের। তার খারাপ লাগার জায়গা শেষটুকু নিয়েই।“ক্লাবে ফিরে শুরুতেই আমি পরিষ্কার করে বলেছিলাম যে এখন আর আমি ২০ বছরের তরুণ নই, তাই সবকিছু যেন খোলামেলাভাবে করা হয়, কোনো লুকোছাপা যেন না থাকে। তবে এই ক্লাব গত কয়েক বছরে কয়েকটি খারাপ কাজ করেছে। যারা দলটির ইতিহাস গড়েছে, বার্সেলোনা তাদেরকে গুরুত্ব দেয় না। একজন বার্সা সমর্থক হিসেবে আমি চাইব যেন বার্সেলোনা একটু ভিন্নভবে বিষয়গুলো সামলায়।”
আলভেসের মতে, তাদের সেরা সময়ে যে মূল্যবোধ ছিল, এখন আর তা নেই বার্সেলোনায়।“আমি নিজের কথা বলছি না, কারণ আমার বিষয়টা ছিল অন্যরকম। আমাকে এখানে ফিরিয়ে আনায় আমি শাভি ও ক্লাব সভাপতির প্রতি কৃতজ্ঞ। এখানে ফিরে তরুণ এক দল ফুটবলারকে দেখেছি, মাঠে যারা অবিশ্বাস্য সব কাজ করতে পারে।”
“তবে মাঠের বাইরে অনেক কিছুতে উন্নতি করতে হবে ক্লাবকে। কয়েক বছর আগে আমরা যেভাবে গড়ে তুলেছিলাম, ক্লাবের মানসিকতা এখন পুরো উল্টো। মাঠের বাইরে যা কিছু হয়, সেসবেরই প্রতিফলন পড়ে মাঠে।”