স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ১৬ জুন : ১৮১ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে খেলতে নেমে অস্ট্রেলিয়া যখন ৫ ওভার ১ বলে মাত্র ৩৪ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারাল, তখন অজি সমর্থকদের হৃদকম্প যতটা না বেড়েছিল, তার চেয়ে অনেক বেশি বেড়ে গিয়েছিল ইংল্যান্ড ক্রিকেট টিমের সমর্থকদের। কারণ এই ম্যাচের উপরই নির্ভর করছিল বাটলারদের বিশ্বকাপ ভাগ্য। কোনওক্রমে স্কটল্যান্ড অজিদের হারিয়ে দিলেই বিশ্বকাপ থেকে পাততাড়ি গুটিয়ে দেশের বিমান ধরতে হত ইংল্যান্ড ক্রিকেটারদের। যাই হোক, শেষ পর্যন্ত সেই অঘটন ঘটেনি। স্নায়ুর চাপ সামলে স্কটিশদের হারিয়ে দিল অস্ট্রেলিয়া। সেই সঙ্গে বিশ্বকাপের সুপার এইটে উঠল ইংল্যান্ডও।
প্রথম ম্যাচে বিপর্যয়, তারপর স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচ বৃষ্টিতে বাতিল। ইংল্যান্ডের সুপার এইটে ওঠা প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত সমীকরণ এমন দাঁড়ায় যে ইংরেজদের শেষ আটে যেতে হলে তাকিয়ে থাকতে হল ‘চিরশত্রু’ অস্ট্রেলিয়ার দিকে। আজ স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়া জিতলে তবে সুপার এইটে উঠত ইংল্যান্ড। এদিন প্রথমে খানিক চাপে পড়ে গেলেও শেষ পর্যন্ত ৫ উইকেটে জিতল অজিরা। ফলে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলবেন বাটলাররাও।
এদিন সেন্ট লুসিয়ায় প্রথমে ব্যাট করতে নেমে স্কটল্যান্ড নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৮০ রান তোলে। সৌজন্যে ব্রেন্ডন ম্যাকমুলেনের ৩৪ বলে ৬০ রানের অনবদ্য ইনিংস। ওপেনার মুনসি ২৩ বলে ৩৫ এবং অধিনায়ক বেরিংটনও ৩১ বলে ৪২ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলেন। স্কটিশরা যে ১৮০ রান তুললেন সেটার নেপথ্যে খানিক কৃতিত্ব ছিল অস্ট্রেলিয়ারও। এদিন ফিল্ডিংয়ের সময় ৬টি ক্যাচ ছাড়েন অজিরা। যা দেখে ইংল্যান্ড সমর্থকদের মনে হতেই পারে, তাঁদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের চেষ্টা হয়েছিল।
আবার ব্যাট করতে নেমেও শুরুটা বিশ্রী করে অস্ট্রেলিয়া । ওয়ার্নার মাত্র ১ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন দ্বিতীয় ওভারেই। অধিনায়ক মার্শ এবং ম্যাক্সওয়েলও ব্যর্থ হন। তবে ৩ উইকেট হারানোর পর হেড এবং স্টয়নিসের জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় অস্ট্রেলিয়া। হেড ৪৯ বলে ৬৮ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। স্টয়নিস ২৯ বলে করেন ৫৯ রান। শেষদিকে টিম ডেভিড ১৪ বলে ২৪ রান করেন। শেষ ওভারে গিয়ে অস্ট্রেলিয়া ম্যাচটি জেতে ৫ উইকেটে।