স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ৩ জুলাই :বৃহস্পতিবার নয়া মন্ত্রীর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে চাঁদেরহাট জমে নি। জোট সরকারের আভ্যন্তরীণ চরম অসন্তুষ্টির মধ্য দিয়ে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হলো রাজভবনে। এমনটাই কান পাতলে শোনা যাচ্ছে। বহু আশা নিয়ে তিপরা মথা সরকারের সঙ্গে জোটে এসেছিল ২০২৪ সালে। কিন্তু যে আশা আকাঙ্ক্ষা নিয়ে জনজাতিদের দেওয়া প্রতিশ্রুতিকে জলাঞ্জলি করে সরকারের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়েছে সেই আশা-আকাঙ্ক্ষা অধুরা রয়ে গেল মথার নেতৃত্বের। দলের দুজন মন্ত্রী হলেও একজন পূর্ণ মন্ত্রী অনিমেষ দেববর্মা এবং অপরজন বৃষকেতু দেববর্মা প্রতিমন্ত্রী হয়েছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী নিয়ে রাগ ক্ষোভ গত এক বছরে মন্ত্রিসভার ভেতরে এবং বাইরে লক্ষ্য করা গেছে। জনগণের সামনেই আসতে চাইছেন না প্রতিমন্ত্রী বৃষকেতু দেববর্মা। কিন্তু প্রতিমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে তিনি পর্যাপ্ত সিকিউরিটি, সরকারি বিলাসবহুল গাড়ি থেকে শুরু করে সরকারি সমস্ত অধিকার ভোগ করছেন। অথচ জনগণের স্বার্থে উনার দরজার তালা পর্যন্ত খুলছে না মহাকরণে। এরই মধ্যে গত কয়েক মাস ধরে মন্ত্রী সভার সম্প্রসারণ হবে বলে জানাজানি হতেই আশায় বুক বেঁধে ছিল তিপরা মথার একাধিক বিধায়ক। দিল্লি পর্যন্ত নাম পাঠাতে মুখ্যমন্ত্রী কাছে প্রস্তাব রেখেছিলেন দলের হাই কমান্ড। কিন্তু সব আশা আকাঙ্ক্ষা ধুলিস্যাৎ হয়ে গেল বৃহস্পতিবার। বুধবার থেকেই এর ইঙ্গিত মিলছিল। অর্থাৎ মন্ত্রিসভার আর একটি শূন্যস্থান পূরণ হচ্ছে নলছড়ের বিধায়ক কিশোর বর্মনকে দিয়ে।
যথারীতি কিশোর বর্মনের কাছে আমন্ত্রণ পত্র যাওয়ার পরেই জোট শরিকের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। যার প্রতিফলন ঘটল বৃহস্পতিবার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না তিপরা মথার কোন বিধায়ক। রাজ্যে অবস্থান থেকেও শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যাননি তাঁরা। পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন না আই পি এফ টি একমাত্র বিধায়ক থেকে মন্ত্রীত্বের ভাগ্য হওয়া শুক্লাচরণ নোয়াতিয়া। শুধু তাই নয়, শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে বিজেপি -র বহু মন্ত্রী, বিধায়ক উপস্থিত ছিলেন না। উপস্থিত ছিলেন না মন্ত্রী রতন লাল নাথ, উপাধ্যক্ষ রামপ্রসাদ পাল, মুখ্য সচেতক কল্যাণী রায় এবং অধ্যক্ষ বিশ্ববন্ধু সেন। জানা যায়, মন্ত্রিসভার একাংশ সদস্য চেয়েছিলেন রামপ্রসাদ পাল, কল্যাণী রায় এবং বিশ্ববন্ধু সেন থেকে মন্ত্রিত্ব দেওয়ার জন্য। কিন্তু প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। নামের তালিকা ফাইলে চাপা পড়ে গেছে।