Thursday, May 29, 2025
বাড়িখেলাযে কারণে সাত নম্বরে রোহিত, ব্যাটিংয়েই নামা হলো না কোহলির

যে কারণে সাত নম্বরে রোহিত, ব্যাটিংয়েই নামা হলো না কোহলির

স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক,২৮ জুলাই: সাত নম্বরে খেলা নিয়ে এ দিন তাকে প্রশ্ন করার কারণ, ওয়ানডেতে এই পজিশনে খেললেন তিনি সাড়ে ১২ বছর পর! রোহিত তো তবু ব্যাটিংয়ে নামলেন। বিরাট কোহলির তো নামাই হলো না! ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটি বৃহস্পতিবার ভারত জিতে নেয় ৫ উইকেটে। যদি উইকেট আরও দু-একটি পড়ত, কোহলিকে যদি নামতে হতো, তাহলে নতুন এক অভিজ্ঞতা হতো তার। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এত নিচে ব্যাট করার অভিজ্ঞতা তার কখনোই হয়নি। ওয়ানডেতে চারবার সাত নম্বরে ব্যাট করার অভিজ্ঞতা আছে কোহলির। সবশেষটি সেই ২০১১ সালের মার্চে, বিশ্বকাপের ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। রোহিত সবশেষ সাতে খেলেছিলেন আরও আগে, ২০১১ সালের জানুয়ারিতে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সেবার ৯ রান করেছিলেন। এবার অপরাজিত ১২ করে দলের জয় সঙ্গে নিয়ে ফিরেছেন।

ব্রিজটাউনে এই ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২৩ ওভারে গুটিয়ে যায় স্রেফ ১১৪ রান করে। ভারতের রান তাড়ায় ইনিংস শুরু করেন ইশান কিষান ও শুবমান গিল। ব্যাটিংয়ের জন্য ভীষণ দুরূহ উইকেটে ৪৬ বলে ৫২ রানের ইনিংস খেলেন কিষান। তার পরও ভারতের পথচলা মসৃণ হয়নি। একে একে পাঁচ উইকেট হারায় তারা। তবে উইকেটে হারানোর সঙ্গে দেখা যেতে থাকে তাদের ব্যাটিং অর্ডারের চমক। তিনে নামেন সূর্যকুমার যাদব, চারে হার্দিক পান্ডিয়া, পাঁচে রবীন্দ্র জাদেজা। এমনকি পেসার শার্দুল ঠাকুরকে নামানো হয় ছয়ে। শার্দুলও ১ রান করে আউট হয়ে গেলে সাতে নামেন রোহিত। জাদেজা ও রোহিত মিলে খেলা শেষ করেন ২৩তম ওভারে। ম্যাচ শেষে রোহিত ব্যাখ্যা করলেন ব্যাটিং অর্ডার ওলট-পালট করার কারণ। ওয়ানডের আগে টেস্ট সিরিজের দলে যারা ছিলেন না, তাদেরকে ব্যাটিং অনুশীলনের সুযোগ করে দিতে চেয়েছিলেন বলে জানালেন ভারতীয় অধিনায়ক। 

“ওয়ানডের জন্য যারা দলে এসেছে, তাদেরকে ব্যাটিংয়ে সুযোগ করে দিতে চেয়েছিলাম আমরা। যখনই সুযোগ মিলবে, এই ব্যাপারগুলো চেষ্টা করে দেখতে চাই আমরা। তাদেরকে ১১৪ রানে আটকে রাখার পর আমাদের মনে হয়েছে এখানে সুযোগ আছে। এই ধরনের সুযোগ খুব বেশি মেলে না।” “এই রান তাড়ায় ৫ উইকেট পড়ে যাবে, এটাও ভাবতে পারিনি। তবে সত্যি বলতে, ম্যাচ আমাদের নিয়ন্ত্রণেই ছিল। এজন্যই আমাদের মনে হয়েছে, যে ছেলেরা বেশ কিছুদিন ধরে ক্রিকেটের বাইরে আছে, ওদেরকে একটু সুযোগ করে দেওয়া যাক।” কেনসিংটন ওভালের উইকেট এ দিন ছিল বোলারদের স্বর্গ। পেসারদের জন্য যেমন মুভমেন্ট ও বাউন্স ছিল, স্পিনারদের জন্য ছিল টার্ন ও বাউন্স। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে এই ধরনের উইকেট এখন বিরল। ১০০ ওভারের ম্যাচ শেষ ৪৬ ওভারের আগেই। উইকেটের এমন চরিত্র দেখে অবাক রোহিত শর্মাও। “সত্যি বলতে, ভাবতেও পারিনি উইকেটের আচরণ এরকম হবে। পেসারদের জন্য এখানে সবরকম সহায়তা ছিল, স্পিনারদের জন্যও। রান করা ছিল বেশ কঠিন। তবে ওদেরকে এত কম রানে আটকে রাখা  আমাদের বোলিং ইউনিটের জন্য ছিল অসাধারণ।”

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য

error: <b>Alert: </b>Content selection is disabled!!