স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ১৫ জুন : ডিজিটাল পদ্ধতিতে দেশে দুই দফায় হবে জনগণনা। সোমবার বিজ্ঞপ্তি জারি করে এমনটাই জানাল কেন্দ্র। জানা গিয়েছে, ২০২৬ সালের ১ অক্টোবর মধ্যরাত থেকে প্রথম দফায় লাদাখ, জম্মু ও কাশ্মীর, হিমাচল প্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডে জনগণনা শুরু হবে। অন্যদিকে, ২০২৭ সালের ১ মার্চ মধ্যরাত থেকে দেশের বাকি রাজ্যগুলিতে শুরু হবে জনগণনা।
জনগণনার প্রথম ধাপে পারিবারিক আয়, সম্পদের পরিমাণ, আবাসন বা বাড়ির পরিস্থিতি এবং সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এই ধাপটিকে বলা হয় ‘হাউসলিস্টিং অপারেশন (এইচএলও)’। দ্বিতীয় ধাপে পরিবারের প্রতিটি সদস্যের আর্থ-সামাজিক-সহ বিভিন্ন ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এই ধাপটি ‘পপুলেশন এনুমেরেশন’ নামে পরিচিত। এই প্রথমবার জনগণনার সঙ্গে জাতিগত জনগণনাও করা হবে।
কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, এবারের জনগণনা ডিজিটাল পদ্ধতিতে সম্পন্ন হবে। কিন্তু ভারত ডিজিটালাইজেশনের পথে অনেক দূর এগিয়ে গেলেও দেশের একটা বড় অংশ প্রযুক্তিগত শিক্ষায় পিছিয়ে। সবার হাতে স্মার্টফোন বা ইন্টারনেট পরিষেবা নেই। কিংবা থাকলেও বহু মানুষই এর ব্যবহারে অক্ষম। এই পরিস্থিতিতে জনগণনার পথে নতুন করে ফের বাধা তৈরি হয় কি না সেটাই এখন দেখার।
গত মাসেই কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, এবার জনগণনার সঙ্গে জাতিগত জনগণনাও করা হবে। তিনটি বিষয়ের উপর জনগণনা হবে। এক, বাড়িতে ব্যক্তিসংখ্যা, তাদের আবাস সংখ্যা ও এক আবাসে কতজন বসবাস করেন সেটা। অর্থাৎ দেশের জনসংখ্যার পাশাপাশি কটি বাড়ি রয়েছে তাও গণনার আওতায় আনা হবে। সেই সঙ্গে জাতি জনগণনাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যা কংগ্রেস-সহ বিরোধীদের তরফে দাবি করা হচ্ছিল। কেন্দ্রীয় সরকার সূত্রের খবর, জাতিগত জনগণনা অন্তর্ভুক্ত হওয়ার ফলে এবারের জনগণনা প্রক্রিয়াটা বেশ দীর্ঘ হতে চলেছে। কারণ, আগের চেয়ে অনেক বেশি প্রশ্নসংখ্যা যোগ করা হচ্ছে জনগণনার সমীক্ষায়। যার ফলে খরচও বাড়বে।
প্রতি ১০ বছর অন্তর আদমশুমারি হয়ে থাকে। কিন্তু ২০১১-র পর এ দেশে আর জনগণনা হয়নি। ২০২১ সালে জনগণনা হওয়ার থাকলেও করোনা অতিমারীর জেরে সেটা পিছিয়ে দেওয়া হয়। শোনা গিয়েছিল, ২০২৩ সালে জনগণনা হতে পারে। কিন্তু ভোটের আগে সে পথে হাঁটেনি মোদি সরকার। সব মিলিয়ে মোদি জমানায় একবারও জনগণনা হয়নি। তাতে সরকারের অন্দরে নানা ধরনের প্রশ্নও উঠছিল। অবশেষে গত বছর জনগণনার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে কেন্দ্র।