নয়াদিল্লি, ২৭ অক্টোবর (হি.স) : মিথ্যাচার নয়, প্রকৃত টিকাকরণে বাঁচবে জীবন। বুধবার ফের মোদী সরকারকে এভাবেই আক্রমণ করলেন রাহুল গান্ধী। চিকিত্সক এবং বিজ্ঞানীদের এই সঙ্কট মোকাবিলার জন্য কুর্নিশ জানানোর পাশাপাশি স্মরণ করিয়ে দেওয়া দেশের একটা অংশের মানুষ এবং শিশু-কিশোরদের এখনও টিকাকরণ হয়নি।
এদিন ট্যুইটে রাহুল লেখেন, ‘টিকা প্রদান কর্তব্য। টিকাদানের জুমলায় জীবন বাঁচবে না। সত্যি টিকাকরণে জীবন বাঁচবে।’ এদিকে, ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ নেওয়ার পরেও কোভিড সংক্রমণ হচ্ছে। তাতে চিন্তার বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। তা হলে কি ভ্যাকসিন কোভিড আটকাতে পারছে না, সেই গুরুতর প্রশ্ন উঠেছে। তবে, স্বস্তির কথাটা হল, টিকা নেওয়া-দের করোনায় মৃত্যুর হার অনেক কম। অনেকের উপসর্গই দেখা যাচ্ছে না কোনও। মানে, গাল-ভরা সেই কথাটা- অ্যাসিমটোম্যাটিক বা উপসর্গহীন তাঁরা। এখনেও অবশ্য একটা সমস্যা রয়েছে। কারণ, অ্যাসিমটোম্যাটিকরা তো নিজের ও চারদিকের অজান্তে করোনা ছড়িয়ে দিতে কোনও কার্পণ্য করবে না।
কয়েক দিন আগেই খবর হয়েছে, ১০০ কোটি ভ্যাকসিনের ডোজ দেওয়া হয়েছে এ দেশে। এর আগে একমাত্র রয়েছে চিন। জুন মাসে চিন এই সংখ্যাটা পেরিয়েছে। রাষ্ট্রপুঞ্জের হিসেবে ভ্যাকসিনের ১০০ কোটি- ৩টি জার্মানি, ১১টি ফ্রান্স, ১০টি ইংল্যান্ড, ৫টি রাশিয়া, ১৮টি কানাডার সমান। যদিও বছরের শেষে এ দেশের যোগ্য জনসংখ্যার মাত্র ৩০ শতাংশকেই পুরোপুরি ভ্যাকসিন দেওয়া সম্ভব হবে। আর টার্গেট রয়েছে ৬০ শতাংশ। এবং প্রাপ্তবয়স্ক জনসমুদ্রের ৭০ শতাংশই একটি ডোজ পেয়েছেন এখনও। এ সব কিছুই এই বিরাট সাফল্যের নীচে অন্ধকার তৈরি করে রেখেছে।