স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ২৫ মে : ভোটের মুখে বিহারের রাজনীতিতে আলোড়ন। বড় ছেলে তেজপ্রতাপ যাদবকে আরজেডি থেকে তাড়িয়ে দিলেন লালুপ্রসাদ যাদব। শুধু দল থেকেই নয়, পরিবার থেকেও বড় ছেলেকে ত্যাজ্য করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আরজেডির প্রতিষ্ঠাতা।
যাদব পরিবার সূত্রের খবর, দলীয় শৃঙ্খলা এবং পারিবারিক অনুশাসন না মানায় তেজপ্রতাপকে বহিষ্কার করা হয়েছে। লালু মনে করছেন, তেজপ্রতাপের কার্যকলাপে দল এবং পরিবার দুই ক্ষেত্রেই ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, “আমার বড় ছেলের আচরণ, দায়িত্বজ্ঞানহীন কাণ্ড কারখানা আমার পরিবারের মূল্যবোধের বিরোধী। তাই সবদিক ভেবে চিন্তে আমি ওকে দল এবং পরিবার থেকে বের করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখন থেকে দলেও ওঁর কোনও ভূমিকা থাকবে না। পরিবারেও থাকবে না। ছ’বছরের জন্য ওকে দল থেকে বরখাস্ত করা হল।”
আসলে লালুর বড় ছেলে বরাবরই বিতর্কিত। দলের অনুশাসন কোনওদিনই মানেন না। মাঝে মাঝেই বিতর্কিত কারণে শিরোনামে থাকেন। যার ফলে দলকে বারবার অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে। সদ্যই এক মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছেন তেজপ্রতাপ। শনিবার তাঁর ফেসবুক প্রোফাইলে একটি পোস্টে দাবি করা হয়েছিল, তিনি ১২ বছর ধরে এক যুবতীর সঙ্গে সম্পর্কে রয়েছেন। প্রোফাইলে ‘ইন এ রিলেশনশিপ’ স্টেটাস দেওয়া হয়েছিল। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সেই পোস্ট মুছে ফেলা হয় এবং তেজপ্রতাপ দাবি করেন, তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ‘হ্যাক’ করা হয়েছিল। তারপরই লালু ওই বিস্ফোরক বয়ানে ছেলেকে দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিলেন।
তেজপ্রতাপ অবশ্য দীর্ঘদিন ধরেই আরজেডির মূল সংগঠন থেকে দূরে। একটা সময় ভাই তেজস্বীর সঙ্গে দলের ‘দখল’ নিয়ে দ্বন্দ্বও ছিল তাঁর। কিন্তু লালুর আশীর্বাদ বরাবরই ছিল তেজস্বী যাদবের দিকে। ভাইয়ের কাছে পরাজিত হয়ে তেজপ্রতাপ মূল সংগঠন থেকে দূরে সরে যান। কখনও তাঁকে নাটকে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে, কখনও সিনেমায় হাত পাকানোর চেষ্টা করেছেন, তবে সমান্তরালভাবে রাজনীতিটাও চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন। এবার সেই সুযোগটুকুও কেড়ে নেওয়া হল। চলতি বছরই বিহারে ভোট। ফলে তেজপ্রতাপের বহিষ্কার যে বিহার ভোটের ইস্যু হতে চলেছে তাতে সংশয় নেই। কিন্তু কোন শিবিরের লাভ হবে, সেটা নিয়ে এখনও অস্বচ্ছ্বতা রয়েছে।