স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ২৫ মে : ‘অপারেশন সিঁদুর নিয়ে কোনও বেফাঁস মন্তব্য করা যাবে না।’ রবিবার দিল্লিতে এনডিএ-র বৈঠকে শরিকদলের মুখ্যমন্ত্রী ও উপমুখ্যমন্ত্রীদের সতর্ক করে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অপারেশন সিঁদুরের পর বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে শীর্ষ নেতৃত্বের মুখ থেকে শোনা গিয়েছিল একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্য। সেই আবহেই এবার দলীয় বৈঠকে সতর্কবার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী।
সুশাসনের লক্ষ্য ঠিক করে দিতে রবিবার দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বসেছিল এনডিএ শিবিরের বৈঠক। সেখানে বিজেপি ও এনডিএ শিবিরের মুখ্যমন্ত্রীদের পাশাপাশি ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডা। সূত্রের খবর, সেখানে সাম্প্রতি একের পর এক নেতার বিতর্কিত মন্তব্যে উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দেন তাঁরা যেন বেফাঁস মন্তব্য করা বন্ধ করেন। কোনওরকম অবান্তর মন্তব্য এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ আরও দৃঢ় করার বার্তা দেওয়া হয় প্রধানমন্ত্রীর তরফে। জানা যাচ্ছে, অপারেশন সিঁদুরের পর মধ্যপ্রদেশ এবং হরিয়ানার বিজেপি নেতাদের বিতর্কিত মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে এই বার্তা দিয়েছেন মোদি।
উল্লেখ্য, অপারেশন সিঁদুরের পর কর্নেল সোফিয়া কুরেশিকে ‘সন্ত্রাসবাদীদের বোন’ বলে উল্লেখ করেছিলেন মধ্যপ্রদেশের মন্ত্রী বিজয় শাহ। বিজয় বলেন, “ওরা আমাদের হিন্দু ভাইদের পোশাক খুলে ধর্মীয় পরিচয় যাচাই করে হত্যা করেছে। প্রধানমন্ত্রী মোদিজি ওদের (জঙ্গিদের) বোনকে ওদের বাড়িতে হামলার জন্য পাঠিয়েছেন। ওরা (জঙ্গিরা) আমাদের বোনকে বিধবা করেছে, তাই মোদিজি ওদের সম্প্রদায়ের বোনকেই ওদের পোশাক খুলে উচিত শিক্ষা দেওয়ার জন্য পাঠিয়েছেন।” মন্ত্রী বিজয় শাহর পর অপারেশন সিঁদুর নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন মধ্যপ্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী জগদীশ দেবড়া। দেশের সেনাবাহিনী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পায়ে মাথা ঠেকিয়েছে বলে দাবি করেন বিজেপির এই মন্ত্রী। যার জেরে বিতর্ক চরম আকার নেয়। এই আবহেই এবার এনডিএ নেতৃত্বকে সতর্কবার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
এছাড়াও সূত্রের খবর, শিবসেনা নেতা এবং মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিণ্ডের তরফে একটি প্রস্তাব পেশ হয়। যেখানে অপারেশন সিঁদুরের সাফল্যের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও দেশের সেনাবাহিনীর প্রশংসা করা হয়। বলা হয়, ‘অপারেশন সিঁদুর’ ভারতীয়দের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে। সর্বসম্মতিতে পাশ হয় এই প্রস্তাব। পাশাপাশি ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর দুই দেশের সংঘর্ষবিরতি নিয়েও মুখ খোলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি জানান, যুদ্ধবিরতিতে তৃতীয় পক্ষের কোনও যোগ নেই। পাকিস্তানের অনুরোধেই সংঘর্ষবিরতি করা হয়।