স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ৬ মে : যুদ্ধের আর বুঝি দেরি নাই…! ভারত-পাক যুদ্ধের আবহেই এবার পাকিস্তানের বুকে কাঁপুনি ধরাতে সীমান্তবর্তী এলাকায় চূড়ান্ত মহড়া শুরু করছে ভারতীয় বায়ুসেনা। বুধবার রাতে রাজস্থানে পাক সীমান্ত বরাবর যুদ্ধ মহড়া করতে চলেছে বায়ুসেনা। বৃহস্পতিবারও ওই একইরকম মহড়া চালানো হবে বলে বায়ুসেনা সূত্রের খবর।
বুধবার যে মহড়া হতে চলেছে, এই মর্মে ইতিমধ্যেই এয়ারমেন-দের তথা বায়ুসেনা কর্মীদের উদ্দেশে জারি হয়েছে বিজ্ঞপ্তি। বুধবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ শুরু হবে মহড়া। সাড়ে ৫ ঘণ্টা ধরে তা চলবে। এই সময়ে সীমান্ত ঘেঁষা বিমানবন্দরে বিমানের ওঠা-নামা নিষেধ করা হয়েছে। ওই সময় ওই এলাকায় অসামরিক বিমান চলাচলও নিয়ন্ত্রণ করা হবে বলে নোটিস অর্থাৎ NOTAM জারি করা হয়েছে। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবারও একই ধরনের মহড়া হতে পারে।
শোনা যাচ্ছে, এই যুদ্ধ মহড়ায় অংশ নেবে বায়ুসেনার একাধিক যুদ্ধবিমান ও নজরদারি বিমান। মিরাজ, সুখোয়ের পাশাপাশি অত্যাধুনিক রাফালে যুদ্ধবিমানও ওই মহড়ায় থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে একইসঙ্গে থাকবে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি অ্যাডভান্সড লাইট হেলিকপ্টার ‘রুদ্র’। এছাড়া এম-৭৭৭ আলট্রালাইট হাউইৎজার, সোয়ার্ম ড্রোন, এপিডি ড্রোন ও আত্মঘাতী ড্রোন-সহ অন্যান্য আধুনিক অস্ত্রের মহড়া হতে পারে ওই মহড়ায়।
উল্লেখ্য, বুধবারই দেশজুড়ে যুদ্ধপ্রস্তুতির মহড়ার নির্দেশিকা দিয়েছে কেন্দ্র। দেশের ২৭টি রাজ্য এবং আটটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মোট ২৫৯টি জায়গায় এই মহড়ার নির্দেশকা জারি হয়েছে। যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হলে কী করতে হবে দেশজুড়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে তার অসামরিক মহড়া হবে। যুদ্ধের সময় পড়ুয়ারা কী ভূমিকা নেবে, রাজ্যগুলির সিভিল ডিফেন্সকেও উদ্ধারকাজ সংক্রান্ত মহড়া দিতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি বিমান হামলার সতর্কতায় সাইরেন বাজলে কী করতে হবে, হঠাৎ যদি ব্ল্যাকআউট হয়, কিংবা যুদ্ধ পরিস্থিতিতে স্থানান্তরিত হওয়ার প্রয়োজন পড়ে, তবে কী করণীয়, তারও মহড়া দিতে বলা হয়েছে। এই নাগরিক মহড়ার পরই বায়ুসেনার মহড়ার খবর, যুদ্ধ প্রস্তুতি চূড়ান্ত করারই ইঙ্গিত বলে মনে করা হচ্ছে।