স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ৬ মে : জুন মাসে পাকিস্তানের বাজেট ঘোষণা হবে। সে দেশের এক সংবাদমাধ্যমের দাবি, আসন্ন বাজেটে প্রতিরক্ষা খাতে ১৮ শতাংশ বরাদ্দ বৃদ্ধির প্রস্তাব অনুমোদন করছে শাহবাজ শরিফের নেতৃত্বাধীন জোট সরকার। অর্থনৈতিক ভাবে বিপর্যস্ত সেই দেশে প্রতিরক্ষা খাতে চলতি অর্থবর্ষে খরচ করা হবে প্রায় আড়াই লক্ষ কোটি পাকিস্তানি টাকা। পহেলগাঁও কাণ্ডের জেরে ভারত এবং পাকিস্তানের সম্পর্কে চাপানউতর তৈরি হয়েছে। যুদ্ধ হলে কী করা উচিত, দুই দেশই নাগিরকদের তার মহড়া দিতে বলেছে। এই আবহে পাকিস্তানের জোট সরকারের এই সিদ্ধান্ত ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে মনে করা হচ্ছে।
১ জুলাই থেকে পাকিস্তানে নতুন অর্থবর্ষ শুরু হয়। জুন মাসের শুরুতে বাজেট পেশ করা হবে। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ‘দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন’ –এর প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়েছে যে, সোমবার বিলাবল ভুট্টো জ়ারদারি এবং তাঁর দল পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)-র কয়েক জন সদস্য শাহবাজ এবং তাঁর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা দলের সঙ্গে দেখা করেন। সেখানেই প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ ১৮ শতাংশ বৃদ্ধি করার বিষয়ে সহমত হয়েছে সব পক্ষ। শাহবাজের এই প্রস্তাবে সম্মতি দেন বিলাবল।
২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে পাকিস্তানে প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ ছিল প্রায় দু’ লক্ষ কোটি পাকিস্তানি টাকা। তার আগে ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে পাকিস্তানে এই খাতে বরাদ্দ ছিল এক লক্ষ ৮০ হাজার কোটি পাকিস্তানি টাকা। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষ থেকে বিদায়ী অর্থবর্ষে প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হয়েছিল ১৪.৯৮ শতাংশ। চলতি অর্থবর্ষে সেই বরাদ্দ আরও বৃদ্ধি করছে পাকিস্তান।
পাকিস্তানে প্রতি বছর বাজেটে সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ হয় ঋণ পরিশোধে। তার পরেই বরাদ্দ হয় প্রতিরক্ষা খাতে। পাকিস্তানের ওই সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, পাকিস্তানে মোট বাজেট বরাদ্দের পরিমাণ ১৮ লক্ষ কোটি টাকা। এ বছর তাতে টান পড়তে চলেছে। কারণ সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক পলিসি রেটে কাটছাঁট করেছে।
গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় প্রাণ যায় ২৬ জনের। এ জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করেছে ভারত। তাদের বিরুদ্ধে সিন্ধু জলচুক্তি বাতিলের মতো কড়া পদক্ষেপ করেছে। অটারী-ওয়াঘা সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে। পাকিস্তানও পাল্টা কিছু পদেক্ষপ করেছে। এর মধ্যে ভারতের সাধারণ নাগরিকদের সচেতনতার পাঠ দিতে দেশ জুড়ে অসামরিক মহড়া হতে চলেছে বুধবার। পাকিস্তানও নাগরিকদের সচেতন করে কিছু পদক্ষেপ করেছে। তার পরেই সাধারণ মানুষের মনে প্রশ্ন, তবে কি যুদ্ধ বাধছে? এই আবহে পাকিস্তান প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি করতে চলেছে।