নয়াদিল্লি, ৩০ এপ্রিল (হি.স.) : যুক্তরাষ্ট্রীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় শাসন, আইন এবং বিচার ব্যবস্থার মধ্যে ক্ষমতার পৃথকীকরণ করে দিয়েছে সংবিধান। তাই কর্তব্যপালনের ক্ষেত্রে সেই লক্ষ্মণ রেখা পার করা নিয়ে সতর্ক থাকা উচিত সকলের। এর ফলে গণতন্ত্রই শক্তিশালী হবে।’’ বললেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এন ভি রামানা। শনিবার দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে আয়োজিত সমস্ত মুখ্যমন্ত্রী এবং হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিদের যৌথ সম্মেলনে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এন ভি রামানা বলেছেন, “আমাদের অবশ্যই ‘লক্ষ্মণ রেখা’ সম্পর্কে সচেতন হতে হবে, বিচার বিভাগ কখনই শাসনের পথে আসবে না, যদি তা আইন অনুসারে হয়। যদি পৌরসভা, গ্রাম পঞ্চায়েতগুলি দায়িত্ব পালন করে, যদি পুলিশ সঠিকভাবে তদন্ত করে এবং বেআইনি হেফাজতে নির্যাতনের অবসান হয়, তাহলে মানুষকে আদালতের দিকে তাকাতেই হবে না।”
প্রধান বিচারপতি এদিন আরও বলেছেন, “সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের চাহিদা ও আশা-আকাঙ্খাকে বিতর্ক ও আলোচনার পর আইন প্রণয়ন করতে হবে। প্রায়শই নির্বাহীদের অ-কর্মক্ষমতা এবং আইনসভার নিষ্ক্রিয়তার কারণে মামলা হয় যা এড়ানো সম্ভব।” শনিবারের সভায় প্রধান বিচারপতির অভিযোগ, বহু ক্ষেত্রেই আদালত রায় ঘোষণা করলেও তা কার্যকর করার ক্ষেত্রে ইচ্ছাকৃত ভাবে সরকার নিস্ক্রিয় ভূমিকা পালন করে। পাশাপাশি, জনস্বার্থ মামলার ক্ষেত্রে আরও সতর্কতা বজায় রাখার উপর গুরুত্ব দিয়ে বলেন, ‘‘জনস্বার্থ মামলা যাতে ব্যক্তিস্বার্থ মামলায় পরিণত না হয়, সে দিকে নজর দেওয়া প্রয়োজন।’’ প্রধান বিচারপতির কথায়, “জনস্বার্থ মামলার প্রকৃত উদ্দেশের অপব্যবহার করা হয়, এটি ‘ব্যক্তিগত স্বার্থ মোকদ্দমা’-তে পরিণত হয়েছে। জনস্বার্থ মামলা রাজনৈতিক এবং কর্পোরেট প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে স্কোর নিষ্পত্তি করার একটি হাতিয়ার হয়ে উঠেছে।” প্রধান বিচারপতি আরও জানান, দেশের মোট মামলার ৫০ শতাংশ ক্ষেত্রেই সরকারই একটি পক্ষ!