স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ৮ অক্টোবর: গত তিন ধরে দক্ষিণ মণিপুরের পার্বত্য অঞ্চলে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করল নিরাপত্তাবাহিনী। গত শুক্রবার থেকে চুড়াচাঁদপুর, থৌবাল এবং কাকচিং জেলায় এই তল্লাশি অভিযান চালায় সেনাবাহিনী, অসম রাইফেলস ও পুলিশের যৌথবাহিনী। উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের তালিকায় রয়েছে মর্টার, অত্যাধুনিক রাইফেল, গ্রেনেডের মতো আরও নানান অস্ত্র।
মণিপুরে সেনা নামিয়ে জাতি সংঘর্ষে কিছুটা লাগাম টানা সম্ভব হলেও, গত কয়েকমাসে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়েছে মণিপুর। এই পরিস্থিতি সামাল দিতে শুক্রবার থেকে অভিযানে নামে সেনা, অসম রাইফেলস ও পুলিশের যৌথবাহিনী। শুক্রবার প্রথম অভিযানে চুড়াচাঁদপুরের জঙ্গল থেকে ম্যাগাজিন, পাঁচটি সিঙ্গল ব্যারেল রাইফেল, একটি ৯ এমএম পিস্তল এবং পাঁচটি দূরপাল্লার মর্টার উদ্ধার হয়। শনিবার আর এক দফা অভিযানে কাকচিং থেকে তিনটি কার্বাইন মেশিনগান, একটি ৯ এমএম পিস্তল, দু’টি সিঙ্গেল ব্যারেল বন্দুক, হ্যান্ড গ্রেনেড-সহ আরও নানা আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়। থৌবালেও উদ্ধার হয়েছে কার্বাইন মেশিনগান, ৩২ এমএম পিস্তল এবং বেশ কিছু গ্রেনেড। উদ্ধার হওয়া এই বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র তুলে দেওয়া হয়েছে মণিপুর পুলিশের হাতে।
২০২৩ সালের মে মাসে মেইতেই ও কুকি জনগোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে উত্তাল হয়েছিল মণিপুর। ঘটনার জেরে মৃত্যু হয় ২০০’র বেশি মানুষের। পরিস্থিতি সামাল দিতে সেনা নামানোর পাশাপাশি গোটা রাজ্যে লাগু করা হয়েছিল আফস্পা। তার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর চলতি অক্টোবর মাসে পুনরায় সেই মেয়াদ বাড়ানো হয়। এদিকে গত কয়েক মাসে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়েছে মণিপুরের একাধিক এলাকা। গত ৬ সেপ্টেম্বর বিষ্ণুপুর জেলায় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেরেম্বাম কোইরেংয়ের বাড়িতে রকেট হামলা চালানো হয়। এর পর আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাজ্যের বহু এলাকা।
যদিও মণিপুর প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দাবি করেন, এই রাজ্যের পরিস্থিতি ক্রমশ স্বাভাবিক হচ্ছে। আলোচনার প্রক্রিয়া জারি রয়েছে কুকি ও মেইতেই দু’পক্ষের সঙ্গে। যদিও সে দাবি নস্যাৎ করে কংগ্রেসের তরফে দাবি, রাজ্যে হিংসা ও অশান্তি চরম আকার নিয়েছে। আলোচনার দাবি করা হলেও, বাস্তবে আলোচনা হয়েছে এমন কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি।