স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। ২০ সেপ্টেম্বর : গত বছর প্রধানমন্ত্রী দাবি করেছিলেন আরবান নকশালদের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে কংগ্রেসের। এবার হাত শিবিরকে আক্রমণ শানাতে সরাসরি নরেন্দ্র মোদির দাবি করলেন, ‘যে কংগ্রেসের সঙ্গে একদা মহাত্মা গান্ধীর মতো মহাপুরুষ যুক্ত ছিলেন সেই কংগ্রেস এখন টুকরে টুকরে গ্যাং’ ও ‘আরবান নকশাল’ দ্বারা পরিচালিত। খোদ প্রধানমন্ত্রীর এহেন মন্তব্য প্রকাশ্যে আসতেই জাতীয় রাজনীতিতে শোরগোল শুরু হয়েছে।
দিনক্ষণ ঘোষণা না হলেও চলতি বছরে মহারাষ্ট্রে রয়েছে বিধানসভা নির্বাচন। শুক্রবার এহেন মহারাষ্ট্রের অমরাবতীতে এক সরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে কংগ্রেস সাংসদ তথা বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীর নাম না করে মোদি বলেন, ‘আজ আপনারা যে কংগ্রেসকে দেখছেন এটা সেই কংগ্রেস নয়, যার সঙ্গে একটা সময় মহাত্মা গান্ধীর মতো মহাপুরুষ যুক্ত ছিলেন। বর্তমান কংগ্রেসে দেশভক্তি নামের আত্মার মৃত্যু হয়েছে, এবং ঘৃণার ভূত ঘিরে ধরেছে। আজকের কংগ্রেসের নেতারা বিদেশের মাটিতে গিয়ে দেশবিরোধী এজেন্ডা ছড়ায়, দেশ ভাঙার কথা বলে, ভারতীয় সংস্কৃতির অপমান করে। এটা সেই কংগ্রেস যাকে টুকরে টুকরে গ্যাং’ ও ‘আরবান নকশাল’রা চালায়। আজ দেশের সবচেয়ে বেইমান ও দুর্নীতিগ্রস্ত দল কংগ্রেস। এবং দেশে সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত যদি কোনও পরিবার থেকে থাকে তা কংগ্রেসের শাহী পরিবার।
পাশাপাশি সম্প্রতি প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বাড়িতে গণেশ পুজোয় যোগ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই ঘটনার নিন্দায় সরব হয়েছিল কংগ্রেস। এর জবাবে মোদি বলেন, ‘এই কংগ্রেসের মধ্যে আস্থা ও সংস্কৃতির কণামাত্র থাকত তাহলে এরা গণেশ পুজোর বিরোধিতা করত না। আসলে গণেশ পুজোর বিরোধী এরা। এই মহারাষ্ট্রেই লোকমান্য তিলক মানুষকে একজোট করতে গণেশ পুজো করেছিলেন।’ এর পর সাধারণ মানুষের কাছে মোদি আর্জি জানান, দেশবাসীকে কংগ্রেসের এই পাপের জবাব দিতে হবে।
উল্লেখ্য, গত বছর মধ্যপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচন উপলক্ষে ভোপালে নির্বাচনী জনসভায় যোগ দিয়ে এই ‘আরবান নকশাল’ তত্ত্ব তুলে ধরেছিলেন মোদি। অভিযোগ করেন, কংগ্রেসের সঙ্গে এদের যোগাযোগ রয়েছে। পাশাপাশি বিজেপি নেতাদের মুখে বার বার শোনা গিয়েছে এই টুকরে টুকরে গ্যাংয়ের কথা। কখনও জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন, সিএএ বিরোধী আন্দোলন এমনকী কৃষক আন্দোলনেও এই গ্যাংয়ের যোগ দেখেছে শাসক শিবির।