স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। ২০ সেপ্টেম্বর : মাওবাদকে শেষ করতে টার্গেট বেঁধে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ঘোষণা করেছেন, ২০২৬ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে ভারতকে ‘মাওবাদমুক্ত দেশ’ হিসেবে ঘোষণা করা হবে। এই লক্ষ্য পূরণেই এবার মাওবাদীদের বার্তা দিলেন শাহ। কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে জানালেন, অস্ত্র ত্যাগ করে আত্মসমর্পণ করো অন্যথায় অল আউট অভিযান শুরু করবে সেনা।
এদিন অমিত শাহ বলেন, হিংসা ও মাওবাদী মতাদর্শ দেশ থেকে সমূলে ধ্বংস করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আমি মাওবাদীদের কাছে আবেদন জানাচ্ছি, উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সন্তাসবাদীরা যেভাবে আত্মসমর্পণ করেছে আপনারাও হিংসা-অস্ত্র ত্যাগ করে আত্মসমর্পণ করুন। আর যদি তা না করেন সেক্ষেত্রে এই সন্ত্রাসকে ধ্বংস করতে শীঘ্রই অল আউট অভিযান শুরু হবে। একইসঙ্গে অমিত শাহ বলেন, গত কয়েক বছর পিছনে ফিরলে আপনারা দেখতে পাবেন গোটা দেশে মাওবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযানে বিপুল সাফল্য পেয়েছে দেশের নিরাপত্তাবাহিনী। বর্তমানে এই সমস্যা শুধুমাত্র ছত্তিশগড়ের মাত্র ৪ জেলায় সীমাবদ্ধ। এর আগে নেপালের পশুপতিনাথ থেকে অন্ধ্রপ্রদেশের তিরুপতি পর্যন্ত মাওবাদী করিডোর ছিল। মোদি জমানায় তা ধ্বংস করা হয়েছে।
এছাড়া মাওবাদীদের জন্য আরও বেশি সামাজিক প্রকল্পের বার্তা দিয়ে শাহ জানান, হিংসার পথে ফিরে আসার জন্য মাওবাদীদের একাধিক সামাজিক প্রকল্প ও চাকরির বার্তা দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। জানান, রাজ্যসরকারের সঙ্গে আলোচনা করে আত্মসমর্পণকারীদের জন্য চাকরি, স্বাস্থ্যপ্রকল্প-সহ আরও একাধিক প্রকল্পের ব্যবস্থা করা হবে।
উল্লেখ্য, কেন্দ্র তথা একাধিক রাজ্য সরকারের দীর্ঘদিনের মাথাব্যাথা এই মাওবাদ। এর আগে ইউপিএ সরকারের আমলে মাওবাদকে শেষ করতে একাধিক অভিযান চালায় কেন্দ্র। এমনকী এয়ার ফোর্সও নামায় মনমোহন সিংয়ের সরকার। এর পর মোদি সরকারের আমলে খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দাবি করেছিলেন দেশ মাওবাদীমুক্ত হয়েছে, আমরা মাওবাদীদের করিডোর ভেঙে দিয়েছি। প্রধানমন্ত্রীর সেই ঘোষণার এত দিন পরও কেন অমিত শাহকে অস্ত্র ফেরাওয়ার ডাক দিতে হচ্ছে? স্বাভাবিকভাবেওই সে প্রশ্ন তুলছে বিরোধী শিবির।