স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। ১৭ সেপ্টেম্বর : কর্তব্যরত অবস্থায় তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দ্বিতীয় স্টেটাস রিপোর্ট দেখে রীতিমতো বিচলিত সুপ্রিম কোর্ট! মঙ্গলবার মুখবন্ধ খামে শীর্ষ আদালতে সেই রিপোর্ট জমা দিয়েছে সিবিআই। তা খুলে পড়ার পর শুনানির শুরুতেই প্রধান বিচারপতিরা জানান, এখানে যা সব তথ্য দেওয়া হয়েছে, তা বিচলিত হওয়ার মতোই। এখন স্পষ্ট, নির্যাতিতার মা-বাবা কেন এত উদ্বিগ্ন। তাঁরা যা যা বলেছেন, তার যুক্তি রয়েছে। তবে শীর্ষ আদালত এও জানিয়েছে, এখনই এসব স্টেটাস রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনা যাবে না। তদন্ত শেষ হওয়া পর্যন্ত তা গোপন রাখতে হবে।
মঙ্গলবার আর জি কর মামলার শুনানির শুরুতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে আধিকারিক সত্যজিৎ সিং ওই রিপোর্ট বিচারপতিদের হাতে তুলে দেন। রিপোর্ট পড়ে দেখার পর তিন বিচারপতির মত, আর জি কর-কাণ্ডের তদন্ত ‘খুবই গুরুত্বপূর্ণ জায়গায়’ রয়েছে। প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের বক্তব্য, “সিবিআই ঘুমিয়ে নেই। তারা তদন্ত করছে। তদন্ত খুবই গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় রয়েছে এই মুহূর্তে। সিবিআইকে সময় দিতে হবে।” একই সঙ্গে তিনি বলেন, “তদন্ত চলছে। এই অবস্থায় রিপোর্ট প্রকাশ্যে এলে তদন্তপ্রক্রিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।”
তবে তদন্ত রিপোর্ট দেখে সিবিআইয়ের উপর মোটের উপর সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বিচারপতিরা। তাঁদের বক্তব্য, যে যে প্রশ্নের উত্তর চান, তা সবই রয়েছে স্টেটাস রিপোর্টে। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, আর জি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার দিন ঘটনাস্থলে কারা উপস্থিত ছিলেন, সেই সব নাম জমা দিতে হবে জুনিয়র ডাক্তারদের। নির্যাতিতার বাবা যে সব বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, তাও খতিয়ে দেখতে হবে। বিচারপতিদের নির্দেশ, তদন্তের স্বার্থে ওই বিষয়গুলি নিয়ে সিবিআইকে দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে হবে। তদন্তে সাহায্য করতে হবে কলকাতা পুলিশকেও।