Sunday, September 8, 2024
বাড়িজাতীয়পুরীতে ভোটপ্রচারে ‘বন্ধু’ নবীনকে খোঁচা মোদির

পুরীতে ভোটপ্রচারে ‘বন্ধু’ নবীনকে খোঁচা মোদির

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। ২০ মে || ৪ জুন বিজেডি সরকারের ‘এক্সপায়ারি ডেট’। ওড়িশায় ভোটপ্রচারে এই ভাষাতেই ‘বন্ধু’ বিজেডিকে বেনজির আক্রমণ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এবার জগন্নাথ মন্দিরের রত্নভাণ্ডারের চাবি হারিয়ে যাওয়া নিয়েও নবীন পট্টনায়কের নেতৃত্বাধীন সরকারকে তোপ দাগলেন। মোদির কথায় বিজেডি শাসনে নিরাপদ নয় পুরীর ঐতিহাসিক মন্দির।

সোমবার ওড়িশা সফরে পুরীর মন্দিরে পুজো দেন মোদি। রোড শো করেন। আঙ্গুলের সভা থেকে বলেন, ‘বিজেডির শাসনে নিরাপদ নয় পুরীর জগন্নাথ মন্দির। ছয় বছর হয়ে গেল, রত্ন ভাণ্ডারের চাবি পাওয়া যাচ্ছে না।’ বারোশো শতকের মন্দিরে পুজো দিয়ে মোদি বলেন, ‘মহাপ্রভু জগন্নাথের কাছে প্রার্থনা করেছি, যেন সর্বদা তাঁর আশীর্বাদ আমাদের উপর থাকে এবং আমরা যেন নতুন উচ্চতার পথে এগোতে পারি।’

২০১৮ সালে ওড়িশা হাইকোর্ট সরকারকে মন্দিরের রত্নভাণ্ডার খোলার নির্দেশ দেয়। যদিও রত্ন ভাণ্ডারের চাবি পাওয়া যায়নি বলে তা সম্ভব হয়নি। এই ঘটনায় রাজ্যবাসী ক্ষুব্ধ হয়। ভোটের মধ্যে সেই ধর্মীয় আবেগকে খুঁচিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী। উল্লেখ্য, ২৬ মে ষষ্ঠ দফায় ভোট রয়েছে ওড়িশায়।

গত ৬ মে ওড়িশায় প্রচারে মোদি বলেছিলেন, ‘ওড়িশায় উর্বর কৃষিজমি, জল, খনিজ পদার্থ, সমুদ্র উপকূল রয়েছে। ইতিহাস, সংস্কৃতি রয়েছে। ঈশ্বর সব দিয়েছে ওড়িশাকে। তারপরেও কেন গরিব ওড়িশার মানুষ? উত্তর হল লুট। প্রথমে কংগ্রেস, পরে বিজেডি নেতারা লুট করেছে এই রাজ্যকে। ছোটখাটো বিজেডি নেতারও বিলাসবহুল বাংলো রয়েছে।’ আরও বলেন,  সাত দশক ধরে কংগ্রেস এবং বিজু জনতা দল লুট করেছে ওড়িশাকে। কিন্তু এবার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়কের ‘শেষের সেদিন’ এসে গিয়েছে।

ওড়িশার ২১ লোকসভা এবং ১৪৭ বিধানসভায় ভোট হচ্ছে একসঙ্গে। ভোটপ্রচারে রাজ্যের বিজেপি নেতারা শাসক দলকে আক্রমণ করলেও তা রেখে ঢেকেই করছেন। যেহেতু এনডিএতে না থেকেও বিজেপির ‘বন্ধু’ বিজেডি। সিএএ, দিল্লি সার্ভিস বিলের মতো একাধিক বিল পাশের সময় মোদি সরকারের পাশে থেকেছে নবীনের দল। সেই ‘বন্ধু’কে আচমকা তোপ দাগার পিছনে কোন রাজনৈতিক অঙ্ক মোদির? a

সম্পরকিত প্রবন্ধ

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য