Saturday, March 22, 2025
বাড়িবিশ্ব সংবাদমাঙ্কিপক্সের সামাজিক বিস্তার ঘটছে ইংল্যান্ডে

মাঙ্কিপক্সের সামাজিক বিস্তার ঘটছে ইংল্যান্ডে

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২ জুন।   যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা সংস্থা (ইউকেএইচএসএ) জানিয়েছে, ইংল্যান্ডে ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিতে মাঙ্কিপক্সের বিস্তার ঘটছে।পশ্চিম ও মধ্য আফ্রিকার স্থানীয় মাঝারি উপসর্গের ভাইরাল এ রোগটি ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শের মাধ্যমে ছড়ায় বলে ধারণা পাওয়া গেছে।   মে মাসের আগে আফ্রিকার বাইরে এ রোগের তেমন কোনো প্রাদুর্ভাব দেখা যায়নি। এর আগে শুধু আফ্রিকায় ভ্রমণে গিয়ে এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার নজির ছিল।

বুধবার যুক্তরাজ্যের সংস্থাটি বলেছে, “এই প্রথম ইংল্যান্ডে ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিতে ভাইরাসটি ছড়াচ্ছে। এসব ব্যক্তিদের কেউ পশ্চিম ও মধ্য আফ্রিকার দেশগুলোতে ভ্রমণে গিয়েছিল বলেও কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।” 

ইউকেএইচএসএ এর তথ্যানুযায়ী, এ পর্যন্ত যুক্তরাজ্যে এ রোগে আক্রান্ত ১৩২ জন শনাক্ত হয়েছে, তাদের অধিকাংশই লন্ডনের বাসিন্দা। এদের মধ্যে ১১১ জন সমকামী, উভকামী অথবা অন্য ব্যক্তি যারা পুরুষদের সঙ্গে যৌন সংসর্গ করেছিল (জিবিএমএসএম) । আক্রান্তদের মধ্যে মাত্র দুই জন নারী। 

এখনও পর্যন্ত ইউকেএইচএসএ গে বার, সাউনাস এবং ব্রিটেনে ও বিদেশে ডেটিং অ্যাপ ব্যবহারকারীদের সঙ্গে মাঙ্কিপক্স আক্রান্তদের সম্পর্ক খুঁজে পেয়েছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে।সংস্থাটি বলেছে, “তদন্ত অব্যাহত আছে কিন্তু এখনও পর্যন্ত এই রোগের সঙ্গে সম্পর্কিত কোনো একক কারণ খুঁজে পাওয়া যায়নি।” লন্ডনের জনস্বাস্থ্য বিষয়ক পরিচালক কেভিন ফেনটন জানান, মাঙ্কিপক্সে যে কেউ আক্রান্ত হতে পারেন, তবে সম্প্রতি যাদের রোগ ধরা পড়েছে তাদের মধ্যে জিবিএমএসএম সম্প্রদায়ের অনেকে আছেন যারা লন্ডনে বাস করেন বা নগরীটির সঙ্গে তাদের যোগাযোগ আছে।“নতুন কোনো রোগের প্রাদুর্ভাবের সঙ্গে সম্মানহানি ও অনিশ্চিয়তার বিরাট ঝুঁকি থাকে,” বলেন তিনি।

ইনসাইডার ডটকম’য়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, “মাঙ্কিপক্স রোগে ত্বকে ফুসকুড়ি দেখা দেয়। ফুসকুড়ির মুখে পুঁজ থাকে এবং প্রচণ্ড ব্যথা হয়। এই ফুসকুড়িগুলো কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত সংক্রমণক্ষম থাকে। প্রচণ্ড ছোঁয়াচে এই রোগের ভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তির বিছানার চাদর বা তার স্পর্শ করা যে কোনো জিনিস থেকে ছড়িয়ে পড়া সম্ভব। তবে এই রোগে মৃত্যুর হার ১ শতাংশ।”আফ্রিকার বাইরে মাঙ্কিপক্স রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি অব্যাহত আছে। তবে ইউরোপেই অধিকাংশ রোগী শনাক্ত হচ্ছে। বিজ্ঞানীরা এই প্রাদুর্ভাবের পেছনের কারণগুলো খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য