স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ১৭ জুলাই : ইউনুসের বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান এবং বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘ভিটে’তে হামলা! নারায়ণগঞ্জ জেলায় মুজিব ও হাসিনার জন্ম। সেখানে বুধবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি এবং আওয়ামি লিগ সমর্থকদের সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের। সেনার গুলিতেই তাঁদের মত্যু হয়েছে। এই ঘটনাকে ‘পরিকল্পিত গণহত্যা’ বলল আওয়ামি লিগ। ‘গোপালগঞ্জ গণহত্যা’র প্রতিবাদে আন্দোলনের ডাক দিয়েছে তারা। অন্যদিকে প্রতিবাদে ইউনুসের বাসভবন পর্যন্ত ‘লং মার্চে’র ডাক দিয়েছেন শেখ হাসিনা।
বুধবারের ঘটনার পর থেকে থমথমে আওয়ামি গড় গোপালগঞ্জ। জারি হয়েছে কারফিউ। অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ। গোপালগঞ্জ-কোটালিপাড়া, গোপালগঞ্জ-টেকেরহাট, গোপালগঞ্জ-ব্যাশপুর রুটে বন্ধ বাস চলাচল। স্থগিত এইচএসসি পরীক্ষা। আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। বলা বাহুল্য, যাবতীয় খবর রয়েছে হাসিনার কাছে। বুধবার আওয়ামি সমর্থকদের উপর সেনার গুলি চালানোকে ‘বর্বর’ আচরণ বলেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।
বুধবার মাঝরাতেই এক বার্তায় হাসিনা বলেন, সেনা নিজের দেশের মানুষের উপর বর্বর হামলা চালাচ্ছে দেখে মর্মাহত। বিদ্রোহী কণ্ঠস্বর দমনে সেনাকে গুন্ডা বাহিনীর মতো ব্যবহার করা হচ্ছে। বিষয়টি গোটা বিশ্বের কাছে তুলে ধরা হবে বলেও জানান শেখ হাসিনা। তিনি হুঁশিয়ারি দেন, দাঙ্গাবাজ স্বৈরাচারী সরকারকে উৎখাত করা হবে। এর জন্য ইউনুসের বাসভবন পর্যন্ত ‘লং মার্চে’র ডাক দিয়েছেন মুজিবকন্য়া। গোপালগঞ্জ গণহত্যার বিষয়টি রাষ্ট্রসংঘে তোলা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।